শরীরে এ রকম অপুষ্টির সৃষ্টি হলে অনেক ক্ষেত্রেই খুব সঙ্গত কারণে সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে থাকে এবং তার জন্য প্রয়োজন হয় খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলি, যেমন—প্রোটিন ও ক্যালোরির।
ডায়েরিয়া, ডিসেন্ট্রি, টাইফয়েড প্রভৃতি রোগের জীবাণু অন্ত্রে বাসা বাঁধার ফলে পুষ্টি উপাদানের শোষণ বাধা প্রাপ্ত হয়।
দেখা গিয়েছে, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের উচ্চতা একই বয়সের অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় প্রায় ১ সেন্টিমিটারের মতো কম হয়।
উন্নয়নশীল দেশগুলির ক্ষেত্রে, ‘নিট পুষ্টি’ কম হওয়ার নানা অসুস্থতা ও সর্বোপরি যথাযথ স্যানিটেশনের অভাবে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
গত দশকে আমাদের দেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই উন্নতি করেছে। প্রতি বছর অর্থনৈতিক বিকাশের গড় হার ৮ শতাংশ।
সমীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, শতকরা ৪২.৫টি পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম।
কম উচ্চতার শিশুদের মৃত্যুর হারও যথেষ্ট বেশি।
অনেকের মধ্যেই সরকারি সহায়তায় শৌচাগার নির্মাণের বিষয়টি সরকারের কাছ থেকে মূলত অনায়াসে কিছু আর্থিক সহায়তা পাওয়া বা সরকারি ভর্তুকি পাওয়ার জন্য, উন্নত অনাময় ব্যবস্থা বা তা ব্যবহার করার জন্য নয়।
এই সমীক্ষায় এও জানা গিয়েছে, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে বহু মানুষ জানিয়েছেন যে, বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করা খরচসাপেক্ষ তাই তাঁরা মাঠেই বা খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে থাকেন।