মেনপজ সোসাইটির অনুষ্ঠানের একেবারে গোড়াতে সংস্থার সচিব ডাঃ বিপাশা সেন জানালেন, এ বারে বিশ্ব মেনপজ দিবসের দিনেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হল। অন্যান্যবার পুজো বা দেওয়ালির ছুটির কারণে এই দিনটির বদলে হয়তো অন্য দিনে অনুষ্ঠান করতে হত। তিনি ব্যাখ্যা করে বললেন, চল্লিশোর্ধ মহিলারা যাতে স্বচ্ছন্দ জীবন কাটাতে পারেন, তাঁদের যাতে কোনও জটিলতা সৃষ্টি না হয় সে দিকে সচেতন করাই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য।
চেয়্যারপারসন ডাঃ রত্নাবলী চক্রবর্তী বললেন, শুরুতে চল্লিশোর্ধ মহিলাদের অভিনয় প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মহিলারা নিজেদের ব্যক্তিত্বের স্ফূরণ কতটা হয়েছে তা তুলে ধরতে পারবেন। এ বছর সাধারণ মহিলারা এবং মহিলা চিকিৎসকরাও রবীন্দ্র নাট্যের বিভিন্ন মহিলা চরিত্র অভিনয় করে দেখাবেন। আসলে চল্লিশোর্ধ মহিলাদের ক্ষেত্রে সামাজিক ভাবে মেলামেশা করার ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু নিয়মিত আনন্দানুষ্ঠান ও কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে তাঁরা সেই মানসিক জটিলতার জায়গাটুকু কাটিয়ে উঠতে পারেন।
এ দিনের প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসাবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাচিক শিল্পী রত্না মিত্র ও চলচ্চিত্র পরিচালক মহুয়া চক্রবর্তী। পরে প্রতিযোগীরা ‘সামান্য ক্ষতি’, ‘নটীর পূজা’, ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘গান্ধারীর আবেদন’, ‘পরিশোধ’, ‘রাজা’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্র কিছুটা করে অভিনয় করেন। পরে ডাঃ শক্তিরূপা চক্রবর্তী, ডাঃ বিপাশা সেনরাও অভিনয় করে সমবেত অংশগ্রহণকারীদের আনন্দ দেন। ডাঃ রত্নাবলী চক্রবর্তী ও রত্না মিত্র যুগ্ম ভাবে রবীন্দ্রনাথের ‘গোড়ায় গলদ’ নাটকের কিছুটা পাঠ করেন। এই প্রতিযোগিতার শেষে বিচারকরা বলেন, সবার অভিনয়ই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। সব প্রতিযোগীই মঞ্চে অত্যন্ত সপ্রতিভ ছিলেন। অভিনয় করতে এসে ভয় পাওয়ার কোনও চিহ্নমাত্র বোঝা যায়নি।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020