সাধারণত ১৮ মাস থেকে ২ বছর বয়সের মধ্যে মা বাবা বাচ্চার আচরণে অস্বাভাবিকতা বা সাধারণের চেয়ে ভিন্ন বলে ধরতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে, অন্য একই বয়সের বাচ্চাদের চেয়ে খেলার আগ্রহে ভিন্নতা, সামাজিক মেলামেশা যেমন কথা বলা বা ভাব প্রকাশ করার ভিন্নতা ইত্যাদি।
কিছু কিছু বাচ্চা আবার ১ থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত খেলাধূলা, কথা বলা, সব ঠিক থাকে কিন্তু হঠাৎ করে কথা বলা ও সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এটাকে বলা হয় রিগ্রেসিভ অটিজম। তবে নীচের বিষয়গুলোর ব্যত্যয় ঘটলে বা করতে না পারলে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হতে হবে ---
কোনও শারীরিক মুভমেন্ট বার বার করে, চোখে চোখ রেখে ভাব বিনিময় না করে, তা হলে সাথে সাথে বাচ্চাকে বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
যদি বাচ্চার বয়স ১৮ মাস এর বেশি এবং ৩ (তিন) বছরের কম হয়, তা হলে তার প্রথমে অটিজম হওয়ার সম্ভাবনা খুঁজে বার করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন অ্যাসেসমেন্ট টুল ব্যবহার করা হয় এবং অটিজম হওয়ার সম্ভাব্যতা থাকলে সেই অনুযায়ী আর্লি ইন্টারভেনসন প্রোগ্রাম ডেভেলপ করা হয় যাতে বাচ্চার অটিস্টিক আচরণ প্রকাশ পেতে বাধা পায় এবং তার স্নায়বিক বিকাশ ঠিকমতো হয়।
যদি বাচ্চার বয়স ৩ (তিন) বছরের বেশি হয়, তা হলে তার অটিজম আছে কিনা বা থাকলে তার মাত্রা কত তা নিরূপণ করতে হয়। এর জন্যও আলাদা অ্যাসেসমেন্ট টুল ব্যবহার করা হয় এবং অটিজম-এর মাত্রা অনুযায়ী বাচ্চার জন্য ইন্টারভেনসন প্রোগ্রাম ডেভেলপ করা হয়।
এ ধরনের বাচ্চার জন্য অনেক ধরনের পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে ‘সেন্সরি ইন্ট্রিগেসন’ অন্যতম। এই পরিষেবা পেতে ‘সেন্সরি ইন্ট্রিগেসন’-এ দক্ষ এক জন অকুপেশনাল থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। বাচ্চার যদি কথা বলতে সমস্যা থাকে তবে তাকে অটিজম বিষয়ে দক্ষ একজন স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে যেতে হবে।
বাচ্চার শরীরে অনেক সময় ফ্রি-রেডিকেল, টক্সিক মেটালের (লেড, মার্কারি ইত্যাদি) আধিক্য দেখা যায় এবং যার ফলে বাচ্চার মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে বায়ো-মেডিক্যাল চিকিৎসা নিয়ে অনেক অটিস্টিক বাচ্চার প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। অনেক বাচ্চার জন্য সাইকোথেরাপি, বিহেভিয়ার মডিফিকেসন ইত্যাদি প্রয়োজন পড়ে।
অনেক বাচ্চার জন্য বিশেষ স্কুলের প্রয়োজন হয়। তবে অটিজমের জন্য দেশে মানসম্পন্ন বিশেষ স্কুলের সংখ্যা কার্যত হাতে গোনা।
সূত্র : ই- স্বাস্থ্য বাংলা ডট কম এবং ই-সাধ্য
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020