অটিজম একটি স্নায়বিক ও বুদ্ধি বিকাশ গত সমস্যা। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে প্রতি ৬৮ জন বাচ্চার মধ্যে ১ জন বাচ্চা অটিজমে আক্রান্ত। অন্য দিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথের তথ্য অনুযায়ী ৩ থেকে ১০ বছর বয়সি প্রতি হাজার জন শিশুদের মধ্যে ৩ জনের অটিজমের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তবে কী কারণে এই রোগ হয় তার কারণ সম্পর্কে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে অসংখ্য গবেষণায় যে তথ্যে পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে পরিবেশ দূষণ, ভেজাল খাদ্য (টক্সিক মেটাল, কীটনাশক, প্রিজারভেটিভ ইত্যাদি মেশানো), টিকা-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বংশগতি ইত্যাদি অটিজমের পেছনে ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভারতে অটিজমের সমস্যার ছবিটা একই রকম ভয়াবহ। তবে এখানে একটি বড় সমস্যা হল অধিকাংশ ক্ষেত্রে অটিজম রোগটি ঠিকমতো ধরা পড়ে না। এর প্রধান হল সচেতনতার অভাব। ‘বাচ্চা বড্ড স্লো’, সাধারণ এই সমস্যা রয়েছে ধরে বাবা-মায়েরা শিশুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান। এবং পরবর্তী কালে শিশুটির ওই স্লো হওয়ার জন্য চিকিৎসাই চলে। ফলে অজান্তে বেড়ে যায় অটিজমের সমস্যা। অথচ বাবা-মায়েদের যদি অটিজম সম্পর্কে ধারণা থাকত তবে তাঁরা বাচ্চাদের মধ্যে অটিজমের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে সেই সমস্যারই সমাধান চাইতেন। অন্য দিকে স্কুলেও অটিজম আক্রান্ত বাচ্চার প্রতি আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতোই আচরণ করা হয়। অন্য স্বাভাবিক বাচ্চার সঙ্গে স্কুলে জোর করে তাদের পড়ানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে আইএফএ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রক ব্যাপক ভাবে কাজ করে এবং ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি ভারত সরকার অটিজমকে প্রতিবন্ধকতা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
সূত্র : ই- স্বাস্থ্য বাংলা ডট কম এবং ই-সাধ্য
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/9/2020