মানুষের মস্তিষ্কের চার পাশে মেনিন নামে একটি পর্দার মাধ্যমে ঢাকা থাকে। বেশ কিছু ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস ও মেনিন পর্দাকে আক্রমণ করলে পর্দাটি ফুলে যায়। এই অসুখকে মেনিনজাইটিস বলা হয়। মেনিনজাইটিস পর্দাটি ফেটে গিয়ে সংক্রমণ যখন মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে বলা হয় মেনিঙ্গো এনসেফেলাইটিস।
সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে রোগীর প্রবল জ্বর হয়। ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। সংক্রমণ হলে প্রবল খিঁচুনি, বমি ভাব, মাথা ব্যথা হয়। ক্রমশ মস্তিষ্ক ফুলে উঠে প্যারালিসিস হয়ে যায়। রোগী চোখ খুলতে পারেন না। মুখে বেঁকে যায়। ভুল বকতে থাকেন। লোক চিনতে পারেন না। রোগী ক্রমশ কোমায় চলে যান। একটি একটি করে অঙ্গ বিকল হয়ে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
মৃত্যুর হার : ভারতে ৭০-৯০ শতাংশ। উচ্চ রক্তচাপের রোগী, ডায়বেটিক এবং নেশাসক্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি।
রোগ নির্ণয় : রোগীর মেরুদণ্ড থেকে সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড (মস্তিষ্ক রস) সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়।
চিকিৎসা : ঠিক সময়ে ধরা পড়লে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৪ মার্চ ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020