অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

জাপানী এনকেফেলাইটিস

জাপানী এনকেফেলাইটিস একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ যার সংক্রমণ  মানুষ ও অন্যান্য পশুর মধ্যে ঘটে থাকে।এই সংক্রমণে মানুষের মস্তিষ্ক ঘিরে ঝিল্লি-প্রদাহ দেখা দেয়। ভাইরাস ঘটিত এনকেফেলাইটিসের প্রধান কারণ জাপানী এনকেফেলাইটিস। এই জাপানী এনকেফেলাইটিসের সংক্রমণ এখন এশিয়ার পূর্বে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে পশ্চিমে পাকিস্তান এবং উত্তরে কোরিয়া থেকে দক্ষিনে পাপুয়া গিনি পর্যন্ত বিস্তারিত। জাপানী এনকেফেলাইটিস রোগটি ফ্লাভি ভাইরাসের কারণে ঘটে থাকে যা মস্তিষ্কের ঝিল্লিতে প্রভাব বিস্তার করে। সাধারণত: জাপানী এনকেফেলাইটিস হলে অল্পস্বল্প জ্বর ও মাথাব্যথা হয় ও আপাতভাবে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। ২০০-র মধ্যে ১টি সংক্রমণে দ্রুত উচ্চ মাত্রায় জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ধরা,অস্থিরতা, কোমা, মাংসপেশীর অনৈচ্ছিক আক্ষেপজনিত পক্ষাঘাত ও মৃত্যু দেখা যায়।

উপসর্গ

সাধারণত মশার কামড়ের ৫ থেকে ১৫ দিন পর এর উপসর্গগুলো দেখা যায়। জাপানী এনকেফেলাইটিস রোগের কোনোও উপসর্গ দেখা নাও দিতে পারে। ২৫০ জনের মধ্যে ১ জনের  ভিতর সংক্রমণ এনকেফেলাইটিস রোগে রুপান্তরিত হতে পারে। এর ফলে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে :

  • ১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি তাপমাত্রার জ্বর
  • মাথার যন্ত্রণা
  • বমিভাব
  • আন্ত্রিক
  • পেশীতে ব্যথা এবং দুর্বলতা
  •  

    যদিও এটি বিরল তবুও কিছু লোকের শরীরে নিচের মারাত্মক উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে :

  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ও খিঁচুনি
  • মানসিক অবস্থার পরিবর্তন
  • শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের অনিয়ন্ত্রিত নড়াচড়া বা কাঁপা
  • অস্বাভাবিক পেশী টান
  • চলাফেরার সমস্যা, যেমন ঝাঁকুনি, শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া, ধীরে ধীরে নড়াচড়া বা পক্ষাঘাত
  • চোখ ও মুখের পেশী-সঞ্চলন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাওয়া
  • কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা
  •  

    কারণ

    ফ্লাভি ভাইরাস দ্বারা জাপানী এনকেফেলাইটিস রোগটি ঘটে থাকে। মানুষ ও পশু উভয় ক্ষেত্রে এই রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকে। সংক্রমিত মশা দ্বারা এই রোগের জীবানু বাহিত হয়।

    ঝুঁকির বিষয় :

  • যে জায়গায় আপনি যাচ্ছেন
  • বছরের কোন সময় যাচ্ছেন
  • কী ধরণের কাজ আপনি করছেন
  •  

    রোগ নির্ণয়

    রক্ত পরীক্ষা: রক্তে উপস্থিত অ্যান্টিবডি জানার জন্য

    লাম্বার পাংচার: এটি সিএসএফ ও সুষম্নারস পরীক্ষা করে।

    স্ক্যানস : মস্তিষ্কের এনকেফেলাইটিস ঘটলে:

  • কম্পুটারাইজড টমোগ্রাফি (সি টি) স্ক্যান, যা শরীরের অভ্যন্তরের পরিষ্কার ছবি তুলতে বিভিন্ন কোণ থেকে ধারাবাহিকবাহে এক্স-রে করে থাকে।
  • ম্যাগনেটিক রিসোনেন্স ইমেজিং (এম আর আই) স্ক্যান যা কড়া চৌম্বক ক্ষেত্র প্রয়োগ করে ও রেডিও তরঙ্গ শরীরের অভ্যন্তরের পুন্খানুপুন্খ ছবি তুলতে পারে।
  • শরীর ও স্বাস্থ্য আরো ভালোভাবে বুঝতে এনএইচপি নির্দেশমূলক তথ্য প্রদান করে।
  •  

    চিকিৎসা

    জাপানী এনকেফেলাইটিসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। যেটির প্রয়োজন হয় সেটি হল সহায়ক-চিকিৎসা। লক্ষণ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয় ও বাড়তে থাকলে প্রতিরোধ করা হয়।

    শরীর ও স্বাস্থ্য আরো ভালোভাবে বুঝতে এনএইচপি নির্দেশমূলক তথ্য প্রদান করে। রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজনে আপনার ডাক্তারের মরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত।

    ঝুঁকি

    যেসব মৃদু জটিলতা দেখা দিতে পারে:

  • অপ্রতিরোদ্ধ হাত নাড়া
  • ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন
  • পেশী দুর্বলতা এবং বাহু ও হাতে টান
  •  

    যে ধরণের মাঝারি সমস্যা দেখা দিতে পারে :

  • অল্পস্বল্প শিখতে অসুবিধে
  • কোনো এক অঙ্গের পক্ষাঘাত
  • শরীরের এক দিকে দুর্বলতা
  •  

    প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ

    জাপানী এনকেফেলাইটিসের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা:

    ১. ব্যক্তি পর্যায়ে

  • একটি একমাত্রিক সারির ঘনত্ব কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণ
  • মশার কামড় এড়াতে  ব্যক্তিগত সুরক্ষার ব্যবস্থা।
  • মশা কামড়ানোর সম্ভাব্য বিশেষ সময়ে বাইরে বেরোনোর সময় শরীরের বেশিরভাগ অংশ জামা কাপড়ে ঢেকে রাখা।
  • মশারি বা মশা তাড়ানোর ক্রিম, কয়েল, ম্যাট ব্যবহার করা।
  • কীটনাশক মেশানো মশারি ব্যবহার করা।
  • দরজা ও জানালা ভালোভাবে বন্ধ করে ঘুমোনো।
  • ঘরে মশা তাড়ানোর কীটনাশক ছড়িয়ে দিন, বিশেষ করে সন্ধ্যে শুরুর ঠিক আগে আগে।
  • তারের জাল দিয়ে ঘর স্ক্রীনিং করুন।
  • ডিইইটি (ডাইইথাইলটলুমাইড) হল খুব কার্যকরী মশা বিতাড়ক দ্রব্য। স্প্রে, রোল-অনস ও স্টিকসের মধ্যে  ডিইইটি থাকে।
  • জাপানী এনকেফেলাইটিসের (জে ই) টিকাকরণ এই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পন্থা। ৩ মাত্রার এই টিকা দেওয়া প্রয়োজন। এই টিকার ক্ষমতা বেশ কয়েক বছর স্থায়ী হয়।
  •  

    ২. সম্প্রদায় ভিত্তিক

  • প্রকোপের সময় ম্যালাথিয়ন ফগিং (ম্যালাথিয়ন দিয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন করে দেওয়া)।
  • প্রকোপের দিক নির্দেশে সম্প্রদায়কে নিযুক্ত করা
  • মশার প্রজনন কমাতে ইকো-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে কাজে লাগানো
  • মানুষের বসবাসের জায়গা থেকে শূকরশালার দুরত্ব অন্তত: ৪-৫ কিলোমিটার হওয়া উচিত।
  • হাত পাম্পের কাছাকাছি জায়গা সিমেন্ট দিয়ে ভালো করে মেজে রাখা উচিত ও ড্রেনেজ সিস্টেম ঠিকঠাক করা উচিত।
  •  

    ৩. ভ্রমণের সময় প্রতিরোধ

  • বেড়াতে যাওয়ার আগে জেনে নিন যেখানে যাচ্ছেন সেখানে জাপানী এনকেফেলাইটিসের ঝুঁকি কতটা রয়েছে।
  •  

    ৪. গর্ভাবস্থায় জাপানী এনকেফেলাইটিসের প্রতিরোধ

  • মশা বিতাড়াক দ্রব্য মেশানো মশারি ব্যবহার করুন। .
  • উপরে বর্ণিত সব ব্যাক্তিগত পথ মেনে চলুন।
  •  

    যা যা করবেন ও করবেন না :

  • মুখের উপর সরাসরি বিতাড়াক দ্রব্যের স্প্রে ছাড়াবেন না।
  • কাটা বা ক্ষতের উপর এই বিতাড়াক দ্রব্য ব্যবহার করবেন না।
  • চোখের চারপাশ, ঠোঁট, মুখ ও কানের ফুটো এড়িয়ে বিতাড়াক দ্রব্য ব্যবহার করবেন।
  • রেপিলেন্ট বা বিতাড়ক ব্যবহারে বাচ্চাদেরকে সাহায্য করুন। বাচ্চাদেরকে নিজেনিজে রেপিলেন্ট ব্যবহার করতে দেবেন না।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর পোকামাকড়-বিতাড়ক ব্যবহার করুন।
  • বিতাড়ক ব্যবহার করার পর ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
  • হাতে লেগে থাকা রেপিলেন্ট সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
  • ব্যবহারের আগে বিতাড়কের উপরে লেখা ব্যবহার প্রণালী ভালো করে পড়ে নিন।
  •  

    তথ্যসুত্রঃ জাতীয় স্বাস্থ্য প্রবেশদ্বার থেকে সংকলিত

    সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/6/2020



    © C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
    English to Hindi Transliterate