জলবসন্ত ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ যা অত্যন্ত ছোঁয়াচে। জলবসন্ত সাধারণত ১০ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে হয়ে থাকে, তবে যেকোন বয়সে এটি হতে পারে। এর ফলে চুলকুনি, ক্লান্তি ও জ্বর ছাড়াও চামড়ায় ফুসকুড়ির মতো দেখা যায়, যাকে ডাক্তারী ভাষায় 'প্লেমোরফিক ফুসকুড়ি' বলে।
জলবসন্ত খুব ছোঁয়াচে হওয়ায় খুব সহজে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়। এই রোগের ভাইরাস লেগে থাকা বস্তু স্পর্শ করলেও এই রোগটি ঘটতে পারে।
উপসর্গগুলো সাধারণত সংক্রমণের ১০-২১ দিনের মধ্যে দেখা দেয় ই ইনকিউবেশন পিরিয়ড নামে পরিচিত।
প্রথম শ্রেণীর উপসর্গের ভিত্তিতে এই রোগের চিকিৎসা হয়। চামড়ার ক্ষতের আনুবীক্ষনিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
জলবসন্তে চুলকুনি থেকে রেহাই পেতে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। ফোস্কা চুলকোবেন না ও সেজন্য আঙ্গুলের নখ কেটে রাখুন ও আঙ্গুল সুবিন্যস্ত রাখুন। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল ও আইবুপ্রফেনের মত ব্যথা কমানোর ওষুধ ব্যবহার করুন। জটিল অবস্থায় ভাইরাস-বিরোধী ওষুধ দেওয়া যেতে পারে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল পানের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
টিকাকরণ জলবসন্ত প্রতিরোধের উত্তম উপায়। ১৩ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদেরকে এই টিকাকরণের আওতায় রাখা যেতে পারে। প্রথম মাত্রাটি দেওয়া যেতে পারে ১২-১৫ মাস বয়সে ও দ্বিতীয় মাত্রা ৪-৬ বছর বয়সে।
ভারতে ভারতীয় শিশু সংগঠন (পেডিয়াট্রিক্স এসোসিয়েশন) দ্বারা টিকাকরণ অনুমোদিত। জনস্বাস্থ্য বন্টন পদ্ধতিতে এটি পাওয়া যায় না।
সুত্রঃ জাতীয় স্বাস্থ্য প্রবেশদ্বার, ভারত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020