অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

রাজ্যে তৈরি হচ্ছে আরও ১২ ব্লাড ব্যাঙ্ক

রাজ্যে তৈরি হচ্ছে আরও ১২ ব্লাড ব্যাঙ্ক

রাজ্যে আরও ১২টি ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি করছে সরকার। বর্তমানে ৫৮টি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে রাজ্যে। তার মধ্যে মানিকতলার কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাঙ্ক ছাড়াও কলকাতায় পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ৩৫টি বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। কলকাতার বাইরে সবক’টি জেলা সদর হাসপাতালেও রয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে। নতুন ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির জন্য সেই কারণে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই জেলাগুলি হল বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কোচবিহার। বাঁকুড়ায় হবে তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্ক, যথাক্রমে ছাতনা , ওন্দা এবং বড়জোড়া ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে। জলপাইগুড়িতে হবে ফালাকাটা ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে। পশ্চিম মেদিনীপুরে হবে চারটি, শালবনি, ডেবরা, নয়াগ্রাম এবং গোপীবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পাশের পূর্ব মেদিনীপুরে ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে নন্দীগ্রাম জেলা হাসপাতাল এবং পাঁশকুড়া ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে। মুর্শিদাবাদে সাগরদিঘি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মেটিয়াবুরুজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি হবে। এ ছাড়াও কোচবিহারে দিনহাটা এবং মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালেও ব্লাড ব্যাঙ্ক হবে। এই ১২টি ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা ২১০টি পদ অনুমোদন করেছে। প্রতিটির জন্য তিন জন করে মেডিক্যাল অফিসার বরাদ্দ হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্ক টেকনিশিয়ান থাকবেন চার জন করে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর , রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় আধুনিক চিকিত্সা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সারা রাজ্যে ৪০ সরকারি হাসপাতালকে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নীত করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই চিহ্নিত হাসপাতালের মধ্যে যেমন আছে টালিগঞ্জের বাঙুর হাসপাতাল, তেমনই রয়েছে ব্লক প্রাথমারি হেলথ সেন্টার। পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চিহ্নিত হাসপাতালগুলিতে। দেখা যায়, ১২টি প্রান্তিক হাসপাতালে নেই কোনও ন্যূনতম ব্লাড স্টোরেজ ইউনিটও। তাই আধুনিক ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি কাজ শুরু হয়। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের জন্য পদ অনুমোদন। তবে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় কত জনকে পাওয়া যায় তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরেই। বর্তমানে রাজ্যের যত সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে, সেখানে কর্মীর সংখ্যা অপ্রতুল। মেডিক্যাল অফিসারের অভাবে জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক দিবারাত্র খোলা রাখাই দায় বহু জায়গায়।

সূত্র: এই সময়, ২ মার্চ ২০১৫

সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/3/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate