অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বোলপুরের স্কুলে শিবির বিকাশপিডিয়ার

শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বোলপুরের স্কুলে শিবির বিকাশপিডিয়ার

বোলপুর হাই স্কুলের পঞ্চম প্রাক্তনী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বিকাশপিডিয়া। বিকাশপিডিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের বেশ কয়েক জন প্রথিতযশা চিকিৎসক এ দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তাঁরা যেমন শিশু ও কিশোরদের স্বাস্থ্য নিয়ে উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষকদের পরামর্শ দেন তেমনই অংশ নেন স্বাস্থ্য শিবিরে। সেই শিবিরে অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন ছাত্রের চোখ ও দাঁতের পরীক্ষা হয় এবং তাদের উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শদান

এই পর্যায়ে অংশ নিয়েছিলেন কলকাতার ৮ জন চিকিৎসক। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চিকিৎসক সুকুমার মুখার্জি।

শিশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ে বলেন সুকুমার মুখার্জি ও পম্পিতা চক্রবর্তী

শিশুরা বেশির ভাগ সময় স্কুলে থাকে তাই স্কুলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্য মানে শুধু শরীর নয়, সঙ্গে মন ও সামাজিক শিক্ষাও জরুরি। শিশুদের যে রোগগুলি বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, পেট ব্যথা, ডায়েরিয়া, বমি, গলার সংক্রমণ, চোখের সমস্যা। এগুলির বিষয়ে যথাযথ নজরদারি দরকার। এর মধ্যে চোখের পরীক্ষা নিয়মিত করা দরকার, কারণ শিশুরা তাদের চোখে সমস্যা রয়েছে কি না, তা বুঝতে পারে না। অসুখ এড়াতে খাবারের পুষ্টিগুণ জেনে শিশুদের খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা দরকার। পাশাপাশি দাঁত পরীক্ষা, ওজন-উচ্চতা পরীক্ষা, কানে শোনার ক্ষমতা পরীক্ষা করা দরকার। প্রতিটি প্রতিষেধক নিয়মিত দেওয়া দরকার। নিয়মিত খেলাধূলা করা দরকার। ছোট ছোট কর্মশালা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের স্কুলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষা দেওয়া দরকার। স্কুলের শ্রেণিকক্ষ, রান্নাঘর, শৌচাগার পরিচ্ছন্ন হওয়া প্রয়োজন। কোনও শিশু যদি অসুস্থ থাকে, তখন যাতে তারা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে খাবার, জল আদান-প্রদান না করে সে বিষয়ে অভিভাবকরা তাদের অবশ্যই সতর্ক করে দেবেন। সুস্থ থাকা প্রতিটি শিশুর অধিকার। আমদের উচিত সেই অধিকার সুনিশ্চিত করা। বিকাশপিডিয়া সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। শিশুরা ভালো থাকুক এই শুভ কামনা জানান সুকুমার মুখার্জি।

শিশুদের বিকাশ বিষয়ে বলেন সুদীপ চ্যাটার্জি

সুদীপবাবু তার গোটা আলোচনাটিই অভিভাবকদের সঙ্গে প্রশ্ন-উত্তরের ভিত্তিতে করেন।

 

প্রশ্ন- পড়াশোনায় যারা পিছিয়ে পড়ছে, তাদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ?

উত্তর- শিশুরা যাতে আত্মবিশ্বাসের অভাবে না ভোগে, সে জন্য অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। যেমন, বাচ্চারা একটু বড় হলেই তাদের আলাদা ঘরে (সম্ভব হলে) শুতে বলা উচিত। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

প্রশ্ন- আমার বাচ্চা রোগা, ওর ঘনঘন ঠান্ডা লাগে, কী করব ?

উত্তর- রোগা হওয়া ভাল। মোটা হওয়া খারাপ। ঠান্ডা লাগা এড়ানোর জন্য জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কিছু নীতি মেনে চলা উচিত। যেমন, শরীর চর্চা করার সময় হাল্কা পোশাক পড়ান, শরীর চর্চা বা খেলাধূলা হয়ে যাওয়ার পর শরীর ঢেকে নিন। এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কমে। আমরা সাধারণত উল্টোটা করে থাকি।

প্রশ্ন- শিশুর হাঁপানির সমস্যা থাকলে কী করব ?

উত্তর- হাঁপানির ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা করা দরকার। এ ব্যাপারে আমরা অনেক সময়ই সচেতন থাকি না। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। বুক যাতে পরিষ্কার থাকে, সে দিকে লক্ষ রাখা দরকার। ইনহেলার ব্যবহার করতে কোনও অসুবিধা নেই, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ঠিকমতো ইনহেলার ব্যবহার করি না, এমন হলে ইনহেলার নিলেও কোনও লাভ হবে না। তাই ঠিকমতো ইনহেলার নেওয়া শিখতে হবে।

প্রশ্ন- শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কী করা উচিত ?

উত্তর- মুখস্থ না করিয়ে বিষয়টি বোঝার দিকে নজর দেওয়া দরকার। পরীক্ষার দিন সকালে না পড়ে আগের রাতে যাতে ভালো ঘুম হয়, সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। ভালো ঘুম হলে পড়া মনে রাখতে সুবিধা হয়। পড়াশোনার বাইরে খেলাধূলা ও অন্যান্য বিষয়ে আগ্রহ যাতে বাড়ে, সে দিকে লক্ষ রাখা দরকার।

শৈশবের সংক্রমণ ও প্রতিষেধক বিষয়ে বলেন তমাল লাহা

তমালবাবু বলেন, সংক্রমণ হল একটি ভয়ঙ্কর দৈত্য। জীবাণুগুলি শিশুদের শরীরে ঢুকে বংশবৃদ্ধি করে শরীরে ক্ষতি করে, একেই বলে সংক্রমণ। নানা ধরনের সংক্রমণ নিয়ে সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলেন তমালবাবু। তার পর তিনি বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিষধকের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বুঝিয়ে বলেন। প্রতিষেধক নিয়মিত ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়ার ব্যাপারেও জোর দেন তিনি। পাশাপাশি তমালবাবু বলেন, যদি কোনও কারণে প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে ফাঁক তৈরি হয়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নতুন সময় সারণিতে প্রতিষেধক নিতে হবে। এমন ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই বলে আশ্বস্ত করেন তমালবাবু।

মা ও শিশুর যত্ন বিষয়ে বলেন রত্নাবলি চক্রবর্তী

গর্ভাবস্থায় মায়ের যথাযথ খাদ্য ও পরিচর্যা দরকার। এ বিষয়ে বিকাশপিডিয়া মায়েদের সাহায্য করছে বলে জানান রত্নাবলিদেবী। শিশুদের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও যথাযথ খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে, তাদের সাহায্য করার দায়িত্ব মা ও স্কুলের। মায়ের সঙ্গ বাচ্চাদের দরকার। মা এক ঘরে টিভি দেখবে, বাচ্চা অন্য ঘরে পড়বে, এটা হয় না বলে মনে করেন তিনি। শিশুদের শরীরচর্চা যেমন প্রয়োজন, তেমনই দরকার যথাযথ বিশ্রাম। ঘুমনোর আগে বই পড়া শরীরের পক্ষে ভালো, এতে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও ব্যাখ্যা করেন চিকিৎসক চক্রবর্তী। বাচ্চাদের বড় হয়ে ওঠায় মায়ের ভূমিকায় গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। বাচ্চাদের টিভি দেখার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে বলেন তিনি।

শিশুদের স্নায়ুর সমস্যা নিয়ে বলেন দেবাশিস বসু

বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ তিনটি কারণে ব্যাহত হতে পারে।

  • ১. গর্ভাবস্থায় মায়ের অসুখ থেকে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ বাধা পেতে পারে।
  • ২. শৈশবের অসুখ থেকেও তা হতে পারে।
  • ৩. জিনগত অসুখ।

তবে ৯০ শতাংশ মানসিক রোগের কারণ পরিবেশ। তাই পরিবেশের দিকে লক্ষ রাখতে হবে।

মৃগী রোগ- এই রোগের ব্যাপারে আলাদা গুরুত্ব দেন চিকিৎসক বসু। তিনি বলেন কারও খিঁচুনি হলে, তার মাথা কাত করে দিতে হবে, বাতাসের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ভাবেই কিছু শোঁকানো যেন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি। এ রোগে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী এমনিতেই সুস্থ হয়, তার পর তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার।

অমনোযোগী শিশু – অনেক শিশু হঠাৎ হঠাৎ অমনোযোগী হয়ে যায়। দুনিয়া থেকে হারিয়ে যায়। এ-ও এক ধরনের মৃগী বলেন দেবাশিসবাবু। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক ওষুধ দিলে তা নিয়মিত খেতে হবে বলে সতর্ক করেন চিকিৎসক বসু।

লিখতে লিখতে হাত কাঁপা- সাধারণত কোনও পারিবারিক অসুখের জন্য এমন হতে পারে। কোনও কোনও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও এমন হয়ে থাকে।

অভিভাবকদের থেকে মাথা ব্যথা, চোখ দিয়ে জল পড়া সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন আসে। দেবাশিসবাবু বলেন, এ ঘটনা ঘটে মাইগ্রেন সংক্রান্ত রোগে, এর সঙ্গে বমিভাবও থাকতে পারে। এর জন্য চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

শিশুদের চোখের সমস্যা নিয়ে বলেন সিদ্ধার্থ ঘোষ

৬ বছরের নীচে ১০ শতাংশ শিশুর চোখের সমস্যা হয়। শিশুরা বোঝে না বলে, এদের সমস্যা ধরা পড়ে না। স্কুলে ভর্তির সময় চোখের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। শরীর ও শিক্ষার জন্য চোখ জরুরি। তাই নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা উচিত। শিশু টেরা হলে চিকিৎসা করতে হবে, চশমা নিতে হবে। কখনও কখনও বাচ্চাদের অবশ্যই চোখ পরীক্ষা করানো উচিত, তা ব্যাখ্যা করেন চিকিৎসক ঘোষ।

বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ায় চোখের যত্নের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টির গুরুত্ব বেড়েছে। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, কম্পিউটারের মনিটর চোখ থেকে আই লেভেলে ৬০ সেন্টিমিটার দূরে থাকতে হবে। ২০ মিনিট কাজ করার পর ২০ সেকেন্ড ২০ ফুট দূরে তাকিয়ে থাকতে হবে।

শিশুদের দাঁতের সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন শবনম জাহির

আমরা দুধের দাঁতের যত্ন নিই না। এটা ভুল। বর্তমান সময়ে খাদ্যাভ্যাসের জন্য গ্রামাঞ্চলেও শিশুদের দাঁতের ক্ষয় রোগ হয়। শুধু তা-ই নয়, দুধের দাঁত এলোমেলো হলে তা শৈশবেই চিকিৎসা করাতে হবে। মিডিয়ার দৌলতে নরম খাবারে প্রতি ঝোঁক বেড়েছে। এর ফলে দাঁতের কাজ কমে যাচ্ছে, এর ফলে দাঁতের ব্যায়াম হচ্ছে না। শিশুরা লজেন্স খেলে তার পর তাদের ফল খাওয়াতে হবে। দিনে দু’বার ব্রাশ করাতে হবে।

ক্লাসরুমে স্বাস্থ্যের ‘প্রথম ভাগ’ পড়ালেন ডাঃ সুদীপ চ্যাটার্জি

‘উসেইন বোল্টকে চেনো? যারা চেনো তারা হাত তোল।’ প্রশ্নটা শুনে এ ওর মুখের দিকে তাকাতে লাগল। সবে চোখের ডাক্তার দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির ঘরে এসে বসেছে তারা। কেউ ক্লাস সেভেন, কেউ এইট, কেউ বা ক্লাস সিক্সের ছাত্র। এখানেও নাকি এক ডাক্তারবাবু তাদের শরীর পরীক্ষা করবে। কিন্তু এতো উল্টো হল। ডাক্তারবাবু এসে ক্লাস নিতে শুরু করলেন।

প্রথম প্রশ্নটা শুনে অনেকই বোল্ড আউট। কেবল এক জন হাত তুলল। মুচকি হেসে, তার থেকে প্রশ্নের উত্তর না শুনে নিজেই উত্তর দিতে শুরু করলেন। গল্পের ছলে। স্বাস্থ্য রক্ষায় শরীরচর্চা কতটা জরুরি তা বোঝাতে লাগলেন। তখন বোলপুর হাই স্কুলের ছাত্রদের চোখে শুধুই মুগ্ধতা।

ছাত্রদের হাতে চোখের ডাক্তারবাবুর লিখে দেওয়া প্রেসক্রিপশন। একটি ছাত্রের হাত থেকে সেই প্রেসক্রিশনটা নিলেন ডাঃ সুদীপ চ্যাটার্জি। চোখ বোলালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই যে ডাক্তারবাবু ৬.৯ লিখে দিয়েছেন এর মানে কী?’ উত্তরের অপেক্ষা না করে নিজেই ছাত্রেদের বোঝাতে লাগলেন তার মানে। একে একে চোখের নানা সমস্যা নিয়ে বললেন। কী ভাবে চোখ ভালো রাখা যায় তারও পরামর্শ দিলেন। তার পর পায়চারি করতে করতে কখনও বা ছাত্রের কাঁধে হাত রেখে বললেন, কেন দাঁতের সমস্যা হয় বা কী ভাবেই বা দাঁত ভালো রাখা যায়। ছাত্রদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন শুনলেন। উত্তরও দিলেন।

বোলপুর হাইস্কুলে বিকাশপিডিয়ার সাগ্রহীকরণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে আয়োজন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। সেই শিবিরের ডাঃ সুদীপ চ্যাটার্জি সহ কলকাতার একাধিক প্রতিথযশা চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি থেকে ফাঁক বার করে সোজা ক্লাস রুমে চলে গেলেন তিনি। ছাত্রদের মতো করে স্বাস্থ্যের ‘প্রথম ভাগ’ পড়ালেন কলকাতার ব্যস্ত এন্ডোক্রিনোলজিস্ট।

 

দূষণের কারণে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে বোলপুরের শিশুরা

হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, ডায়েরিয়া —মূলত শিশুদের এই সমস্যাগুলি নিয়েই চিকিৎসকের কাছে আসছেন বোলপুরের অধিকাংশ বাসিন্দারা, জানালেন বোলপুরে জনপ্রিয় চিকিৎসক ডাঃ সুশোভন ব্যানার্জি। এই তিনটি রোগের কারণ হিসাবে তিনি দূষণকেই দায়ী করেন। ডাক্তারবাবু জানালেন, বোলপুরের বহু এলাকায় পানীয় জলের পাইপ ফুটো করে জল নেওয়া হয়। এর ফলে জলের সঙ্গে মেশে নানা দূষিত পদার্থ। আর সেই জল খেয়ে হচ্ছে ডায়েরিয়া সহ নানান পেটের রোগ।

গত ৪ জানুয়ারি ২০১৫, বিকাশপিডিয়ার সাগ্রহীকরণ কর্মসূচি উপলক্ষে বোলপুর হাইস্কুলে আয়োজন করা হয়েছিল একটি স্বাস্থ্য শিবির। সেই স্বাস্থ্য শিবিরে চোখ দাঁত সহ বিভিন্ন বিভাগের একাধিক চিকিৎসক স্কুলের ছাত্রদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। স্বাস্থ্য শিবিরকে কেন্দ্র করে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কুলের পূর্ব ঘোষিত সময়েই অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে স্কুলে হাজির হয়েছিল ছাত্ররা।

শিবিরের পর চক্ষু চিকিৎসক ডাঃ সিদ্ধার্থ ঘোষ জানালেন, একাধিক ছাত্রদের মধ্যে চোখের নানা ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। এর প্রধান কারণ হল, মাঝে মাঝে চোখের পরীক্ষা না করানো। তাঁর মতে, স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে একবার চক্ষু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। এর পর দু’বছর অন্তর এক বার চোখ পরীক্ষা করালে চোখের নানা সমস্যা এড়ানো যাবে।

ছাত্রদের মধ্যে দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যা ব্যাপক আকারে রয়েছে বলে জানালেন বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক ডাঃ শবনম জাহির। এর কারণ হল, নিয়মিত সঠিক ভাবে দাঁত না মাজা। তাঁর মতে শুধু দিনে অন্তত দু’বার দাঁত ব্রাশ করলে হবে না সঠিক পদ্ধতি মেনে অর্থাৎ উপর থেকে নীচে ব্রাশ চালনা করতে হবে। এই স্বাস্থ্য শিবিরে ছাত্রদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুদীপ চ্যাটার্জি এবং ডাঃ তমাল লাহা।

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/8/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate