অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

বিপর্যয় এবং আপত্কালীন

বিপর্যয় এবং আপত্কালীন

  1. কেন বিপদ এবং তার তত’কালিন প্রতিকার সম্বন্ধীয় ব্যাপার গুলো জানা এবং অপর কে জানানো দরকার?
  2. প্রতিটি পরিবার এবং সমাজের বিপদ এবং তার প্রতিকার সম্বন্ধে কি কি জানা উচিতঃ-
  3. সহায়ক খবর
    1. প্রধান তথ্য ১ :দুর্যোগের বা বিপদের সময় শিশুর প্রয়োজনীয় যত্ন, ওসুধ ও খাদ্যের প্রয়োজন
    2. প্রধান তথ্য ২ : মায়ের দুধ এসময় বিশেষ প্রয়োজন একটি শিশুর ক্ষেত্রে
    3. প্রধান তথ্য ৩ : বিপদ বা দুর্যোগের সময় শিশুর প্রয়োজন তার আপনজনের যত্ন। যাতে সে এই অবস্থায় সাহস পায়
    4. প্রধান তথ্য ৪ :বিপর্যয় শিশুর রাগ বা ভয়ের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে এমন কারো সাথে রাখা উচিত যার সাথে সে তার অভিঞ্জতা আলচনা করতে বা ভাগ করে নিতে পারে
    5. প্রধান তথ্য ৫ :বিস্ফোরক জিনিসের থেকে বাচ্ছাকে দূরে রাখা উচিত এবং তারা যাতে অজানা বস্তু স্পর্শ না করে বা তা নিয়ে না খেলে সে বিষয়ে সর্তক থকা উচিত

কেন বিপদ এবং তার তত’কালিন প্রতিকার সম্বন্ধীয় ব্যাপার গুলো জানা এবং অপর কে জানানো দরকার?

  • বিপদের মুহুর্তে শিশুর অবস্থা ভয়ঙ্কর হতে পারে এবং এসময় সে যত্ন এবং সহানুভুতি চায় ওই ভয় কাটিয়ে ওঠার জন্য।
  • সমীক্ষা অনুযায়ী পৃথিবীর ২৭ মিলিয়ান যাযাবর এবং ৩০ মিলিয়ান গৃহহীন মানুষের ৮০% মহিলা এবং শিশু। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে প্রায় ২০ কটি মানুষ দুর্যোগের শিকার।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুলত গরীবদের উপরই প্রভাব ফেলে। উন্নয়নশীল দেশ গুলিতে প্রায় ৯০% মানুষের মৃত্যু ঘটে দুর্যোগের ফলে।
  • গত কয়েক দশকে প্রায় ৯০ লক্ষ বাচ্চা মারা গেছে, আহত হয়েছে বা অনাথ হয়েছে এই দুর্যোগের কারনে।

প্রতিটি পরিবার এবং সমাজের বিপদ এবং তার প্রতিকার সম্বন্ধে কি কি জানা উচিতঃ-

  • ১)বিপদ বা দুর্যোগের সময় শিশুর প্রয়োজন সঠিক যত্ন এবং খাদ্য।
  • ২)মায়ের দুধ বিপদের সময় ভীষণ প্রয়োজন শিশুর স্বাস্থের জন্য।
  • ৩)বিপদের সময় শিশুরা তাদের বাবা-মা বা অন্য কোন প্রতিবেশীর সাহায্য চায় যা তাকে সাহস জোগায়।
  • ৪)হিংসা, যুদ্ধ এবং ভয়াভহ পরিবেশ শিশুকে রাগী করে তোলে। যখন এরুপ ঘটনা ঘটে তখন শিশুর এমন কাউকে প্রয়োজন হয় যাকে তার অভিঞ্জতার কথা বলতে পারে এবং তার উপর নির্ভর করতে পারে।
  • ৫) বোম বা বারুদ জাতীয় পদার্থ শিশুদের পক্ষে খুব ই বিপদ জনক। শিশুদের এর থেকে দূরে ই রাখা উচিত। তাদের জন্য সুরক্ষিত খেলার মাঠ গড়া উচিত, এবং কোনো অচেনা বস্তু কে হাত না লাগানোর নির্দেশ দেওয়া উচিত।

সহায়ক খবর

প্রধান তথ্য ১ :দুর্যোগের বা বিপদের সময় শিশুর প্রয়োজনীয় যত্ন, ওসুধ ও খাদ্যের প্রয়োজন

যখন দুর্যোগের সময় অনেক মানুষ একই জায়গায় বাস করেন সেখানে রোগ তাড়াতাড়ি ছরিয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে। এসময় শিশুকে প্রয়োজনীয় খাদ্য বিশেষ করে ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাদ্য দেওয়া উচিত।

এসময় যে ওষুধ বা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তার জন্য কোনো সিরিঞ্জ একবারই ব্যাবহার করা উচিত।

যেহেতু হাম বা ওই জাতীয় রোগ তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে, তাই একটি হাম যুক্ত শিশুকে অন্যান্য শিশুদের থেকে আলাদা করে রাখা উচিত।

এই সময় ডাইরিয়া বা নিউমোনিয়া হয়ার সম্ভবনা থাকে।

একটা শিশুর যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরোপুরি থাকেনা সেহেতু তার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হয় তার চারপাশের মানুষকেই।

প্রধান তথ্য ২ : মায়ের দুধ এসময় বিশেষ প্রয়োজন একটি শিশুর ক্ষেত্রে

পারিবারিক সদস্য, অন্যান্য সদস্য এবং দক্ষ স্বাস্থ্যবিদ এরা হলেন প্রকৃত তথ্যের উৎস। শিশুর ২ বছর বয়স পর্য্যন্ত মায়ের দুধ এবং তার সাথে প্রয়োজনীয় অন্য খাদ্য বিশেষ প্রয়োজন।

এ সময় মাকেও চাপমুক্ত রাখতে হবে যাতে শিশুর খাদ্যের ঘাটতি না হয়।

শিশুর ৬মাস পর্যন্ত তার অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু রোধ করতে মায়ের দুধ বিশেষ প্রয়োজন।শিশুকে বাইরের খাবার খাওয়ানোর সময় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। শিশুকে খাওয়ানোর সময় আকা রাখা উচিত নয়।

প্রধান তথ্য ৩ : বিপদ বা দুর্যোগের সময় শিশুর প্রয়োজন তার আপনজনের যত্ন। যাতে সে এই অবস্থায় সাহস পায়

বিপদের সময় সরকারের উচিত শিশু যাতে তার আপনজনের থেকে আকাদা না হয়।

শিশু যদি আলাদা হয়ে যায় তাহলে সরকারের উচিত তাকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তার বাবা-মা কে খুঁজ়েবার করে শিশুকে তাদের সাথে মিলিয়ে দেওয়া।

জরুরী অবস্থায় পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া শিশুকে সাময়ীক ভাবে তার প্রয়োজনীয় যত্ন ও সহানুভূতি প্রদান করা উচিত যতক্ষন না সে তার পরিবারের সঙ্গে আবার বসবাস শুরূ করে।

বিপদের মুহুর্তে শিশু হারিয়ে গেলে তাকে অনাথ ভেবে দত্তক নেওয়া উচিত নয়। অবশ্য যদি তার বাবা-মা অথবা পরিবারের কাউকে না পাওয়া যায় তবে সমগোত্রের কারোর কাছে দত্তক দেওয়া উচিত।

এক্ষেত্রে শিশুর অন্য পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হতে পারে। ভাষা বা সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার অসুবিধা দেখা দেয়।

প্রধান তথ্য ৪ :বিপর্যয় শিশুর রাগ বা ভয়ের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে এমন কারো সাথে রাখা উচিত যার সাথে সে তার অভিঞ্জতা আলচনা করতে বা ভাগ করে নিতে পারে

  • বাড়িতে কোনো বিপদের সময় শিশু তার প্রয়োজনীয় যত্ন নাও পেতে পারে। এতে সে ভয় পায় বা দুঃখ পায়।

কোনো বড়ো বিপদের পরবর্তী সময়ে শিশুর পক্ষে সেই অবস্থায় মানিয়ে নেওয়ার সমস্যা হতে পারে।

  • বাড়িতে কোনো বিপদের সময় বাবা-মা তার বাচ্চার প্রতি অবহেলা করতে পারেন।
  • কোনো বড়ো বিপদের পর বাচ্চা ভীষণ ভয় পেতে পারে। এর ফলে সে অনেক কিছু দাবি করতে পারে,অবুঝ হতে পারে।আবার এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়েও নিতে পারে। তবে এ সময় তার প্রয়োজনীয় সহানুভুতি দরকার।
  • এই সময় শিশু যদি তাকে বোঝার মতো মানুষ না পায় তাহলে বিপদ আর-ও বাড়তে পারে।
  • শিশুকে এ সময় একটা নিয়ম-এর মধ্যে রাখা দরকার। প্রতিদিন স্কুল যাওয়া বা অন্য কাজ করলে তার মধ্যে ভয় জায়গা নিতে পারেনা।
  • শিশুকে কোনো বড়ো অভ্যাসের মধ্যে রাখা, তার অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করা, তার খেলা বা অন্য কোন কাজে সাহায্য করার মাধ্যমে তাকে সুস্থ রাখতে হবে।
  • রিফিউজি ক্যাম্প-এ থাকার সময় বিভিন্ন বাচ্চাদের সাথে মিশলে, নিজেদের মধ্যে অভিঞ্জতা নিয়ে আলোচনা করলে বাচ্চা অনেক চাপ মুক্ত থাকতে পারে।
  • ৪-৬ বছরের বাচ্চাদের মনে হতে পারে যে তারাই বিপদের জন্য দায়ী।এর ফলে তারা অপরাধবোধে ভুগতে পারে। এ সময় বড়োদের উচিত শিশুর মন থেকে এই চিন্তা দূর করা।
  • এ সময় শিশুর আশ্বাস প্রয়োজন। তাকে সবসময় আপনজনের কাছে রাখা দরকার।যদি সে নিজের লোকের থেকে আলাদা হয়ে যায় তবে তাকে বলা উচিত তিনি কোথায় গেছেন বা কখন ফিরবেন।
  • শৈশব থেকে কৈশোর-এ প্রবেশ করেছে এমন সময় তারা বুঝতে পারে যুদ্ধ কাকে বলে বা বিপর্যয় কাকেবলে। কিন্তু এর থেকে মুক্তির জন্য তারা কিছু করতে পারেনা।এর ফলে তাদের মধ্যে মানসিক অশান্তি দেখা দেয়।তারা পরিস্থিতির সাথে মানিইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনা। এ সময় তারা সাহায্য চায় এই অবস্থা থেকে বেরি্যে আসার জন্য।এ সময় তারা মাদক দ্রব্য ব্যাবহার করে বা চুরি করে।তারা ভীষণ রেগে যেতে পারে বা অদ্ভুত কাজ করতে পারে।
  • এ সময় তাদের বড়োদের সাহায্যের প্রয়োজন। কোন ভালো কাজের সাথে তাদের যুক্ত করা উচিত। যাতে তারা মানসিক শান্তি পায়।
  • বাবা-মা, এবং টিচার-এর সাহায্য এ সময় খুব দরকার। তার সাথে কথা বলা দরকার।তাকে নতুন নতুন কাজে ব্যাস্ত রাখা উচিত।
  • যদি এই ধরনের মানসিক অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকে তাহলে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত।
  • এই অবস্থায় শিশুকে বকা বা মারা উচিত নয়। সে তার অপরিনত বুদ্ধি নিয়ে কোন ভূল সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা তার মতো করে করে কোন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে পরে।
  • এতে সে আরও সমস্যায় পড়তে পারে।তাই এ সময় তাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা প্রয়োজন।
  • এছাড়া যদি এটা অসুস্থতার পর্যায় যায় তবে প্রয়োজনীয় ডাক্তারী আলোচনা করা উচিত।

প্রধান তথ্য ৫ :বিস্ফোরক জিনিসের থেকে বাচ্ছাকে দূরে রাখা উচিত এবং তারা যাতে অজানা বস্তু স্পর্শ না করে বা তা নিয়ে না খেলে সে বিষয়ে সর্তক থকা উচিত

বিস্ফোরক বিভিন্ন আকারের,এবং বিভিন্ন রং-এর হতে পারে। এগুলি মাটির তলায়,গাছের মধ্যে, এমনকি জলের তলায় ও লুকানো থাকতে পারে। নষ্ট হয়ে যাওয়া বারুদ যাকে চেনা কঠিন,সেগুলিও সমান বিপদজনক। বিস্ফোরন বিভিন্নভাবে হতে পারে এবং সবক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক। বিস্ফোরনের স্থানটাকে চিহ্নিত করা উচিত এবং সেখানে না যাওয়া উচিত।ওই স্থানে মিলিটারি পাহারার ব্যাবস্থা করা উচিত।বিস্ফোরক স্পর্শ করা উচিত নয়।যে বিস্ফোরক কাজ করছেনা বলে মনে হছে সেগুলিও যেকোন সময় বিপদ ঘটাতে পারে। বিস্ফোরক সবসময় সশব্দে ফাটেনা।তবে তা থেকে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়।চাপ পড়লে বা শুধুমাত্র স্পর্শ করলে বিস্ফোরন হতে পারে।তাই কেউ যদি একটা বিস্ফোরক দেখতে পান তার উচিত সেই স্থান-এ না থাকা। কারন ওখানে আর-ও বিস্ফোরক থাকতে পারে।এই অবস্থায় অন্যের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন।

এছাড়া বিস্ফোরনের দ্বারা কোন ক্ষতি হলেঃ-

  • রক্তপাত হলে রক্ত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত স্থানটিকে চেপে রাখা উচিত।
  • দ্রুত কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত এবং ক্ষতের উপর হাল্কা ব্যান্ডেজ করা উচিত।
  • বাচ্ছা অজ্ঞান হয়ে গেলে তার যাতে শ্বাসকষ্ট না হয় তা দেখা উচিত।

সুত্রঃ UNICEF

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate