পদ্ধতি : দু’ পা ছড়িয়ে একটু ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’ পায়ের পাতা সামনের দিকে সমান্তরাল ভাবে ফেরানো থাকবে। লম্বিত দু’ হাত করতল দু’ পাশের দেহ স্পর্শ করে থাকবে। এ বার দু’ সেকেন্ড ধরে শ্বাস নিতে নিতে ডান হাত সামনে থেকে বৃত্তাকারে ওপরের দিকে সোজা করে তুলুন ও গোড়ালি মাটি থেকে তুলে পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে দাঁড়ান। এই অবস্থায় চার সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ রেখে দু’ সেকেন্ড ধরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিছন দিকে বৃত্তাকারে হাত ঘুরিয়ে ও গোড়ালি মাটিতে নামান। অনুরূপে বাঁ হাত ওপরে তুলে অভ্যাস করুন। এ রূপ চার বার অভ্যাস করবেন।
২য় পদ্ধতি : তালাসনের অনুরূপ দাঁড়িয়ে দু’ সেকেন্ড ধরে দু’ হাত এক সঙ্গে মাথার ওপর তুলুন। সেই সঙ্গে গোড়ালিও ভূমি থেকে তুলুন। চার সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ রেখে দু’ সেকেন্ড দু’ হাত বৃত্তাকারে দেহের পিছন দিকে নামান।
ভিন্ন পদ্ধতি : তালাসন ১ ও ২ নং আসনটি আন্যান্য আসনের মতো স্বাভাবিক শ্বাস বজায় রেখে হাত ওপরে তুলে কুড়ি পর্যন্ত গুনে এটি অভ্যাস করা যায়
উপকারিতা : পায়ের পেশির দুর্বলতা দূর করে, পা মজবুত করতে সাহায্য করে। সায়েটিকার ব্যথা, হাত ও পায়ের সন্ধিস্থলে ব্যথার উপশম হয়। তা ছাড়া স্নায়বিক দুর্বলতা, ব্রেকিয়াল নিউরোলজিয়া, ফ্রোজেন শোল্ডার, পায়ের পেশির আক্ষেপ (ক্র্যাম্পস) সারাতে সাহায্য করে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/2/2020