পদ্ধতি : পদ্মাসনে বসে দু’ হাত হাঁটু ও উরুর মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দু’ হাতের চেটো মাটিতে রাখুন। এ বার হাতের ওপর ভর দিয়ে পদ্মাসন অবস্থায় দেহকে ওপর দিকে তুলে কনুইয়ের ওপর স্থাপন করুন। এই অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গুনুন। এ রূপ তিন বার অভ্যাস করুন।
দ্র : কেউ কেউ ভিন্নতর পদ্ধতিতে কুক্কুটাসন অভ্যাস করেন।
ভিন্ন পদ্ধতি : পদ্মাসনে বসে হাতের ওপর ভর দিয়ে নিতম্ব তুলুন যেন হাঁটু দু’টো মাটিতে লেগে থাকে। এ বার দু’ হাত দু’ হাঁটু সামনে আনুন। হাতের চেটোটা মাটিতে পাতা থাকবে। দু’ হাঁটু দু’ হাতের সংলগ্ন রেখে আস্তে আস্তে মাটি থেকে সমস্ত দেহটাকে টেনে তুলুন। এই অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গুনে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এ রূপ তিন বার অভ্যাস করুন।
উপকারিতা : পেশিবাত, স্কন্ধবাত, পাকাশয়ের শীর্ণতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হাত কাঁপা, ফাইব্রোসাইটিস ইত্যাদি ভালো করতে সাহায্য করে। হাতের জোর, ব্যালেন্স ও বিভিন্ন জয়েন্টের নমনীয়তা বৃদ্ধি করতে আসনটি উপকারী।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/5/2020