প্রতাপের বক্তব্য, সৌরশক্তি চালিত পণ্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই তাঁরা এই স্টল তৈরি করে দিয়েছেন।
রামদাস জানান, গাড়িটি তিনি নিজেই কিনেছেন কিন্তু সোলার প্যানেল বসানো এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করেছে ফোকোস ইন্ডিয়া। লক্ষ্যণীয়, রামদাস কিন্তু ব্যবসা গুটিয়ে দিনের শেষে গাড়িটি রাস্তাতেই রেখে বাড়ি যান। এক খদ্দেরকে ককটেল ফ্রুট জুস দেওয়ার ফাঁকে তাঁর মন্তব্য, “আমি কেবল গাড়িটি প্লাস্টিকের চাদর দিয়ে ঢেকে দিই। এখনও পর্যন্ত কেউ চুরি করেনি বা আমার যন্ত্রপাতির ক্ষতি করেনি।” ঋণ মিটিয়ে দেওয়ার পরে রামদাস আরও একটি ফলের রসের দোকান খোলার চেষ্টা করবেন। তাঁর মন্তব্য, “আশা করি এক বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করে দিতে পারব। তার পর এই রকম আরও একটা দোকান খুলব।”
তিনি সৌরশক্তির ব্যবহার সম্পর্কে খদ্দেরদের সচেতন করার ব্যাপারেও বেশ উৎসাহী। তাঁর মন্তব্য, “কেউ যদি আমার সাহায্য নিতে চান আমি সাহায্য করতে প্রস্তুত।” রামদাসের সাফল্য দেখে পুদুচ্চেরির বেশ কয়েক জন ক্ষুদ্র উদ্যোগী সৌরশক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। এস বিনোদ নামে এক কমার্স গ্র্যাজুয়েটের বক্তব্য, “আমি সৌরশক্তি ব্যবহার করে একটা ছোট টেক্সটাইল ইউনিট খুলতে চাই। এ ব্যাপারে কোম্পানির সঙ্গে কথাও বলেছি।”
বিনোদের বক্তব্য, “সৌরশক্তি অন্যান্য বিদ্যুতের তুলনায় দামি কিন্তু এক বারই মাত্র বিনিয়োগ করতে হয় এবং এর উপর নির্ভর করা যায়।”
তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন পুদুচ্চেরিতে বিদ্যুতের অভাব সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের নাকাল করে চলেছে। গত কয়েক বছর ধরে তাঁরা বাজারে টিঁকে থাকতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। চেন্নাই এবং পুদুচ্চেরির মতো শহর ছাড়া গ্রামাঞ্চলে যখন তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। লোড শেডিং থাকে প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা।
সূত্র : আর সত্যনারায়ণ, এসইএসই, ১৮ মে ২০১৪।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/23/2019