পশ্চিমবঙ্গের নারায়ণপুর গ্রামে তফশিলি আদিবাসীদের ১৬টি বাড়িতে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। বাড়ির আলোর জন্য শক্তির একমাত্র উৎস ছিল কোরেসিন যার দাম প্রতি লিটার ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। কেরোসিন বাতির উজ্জ্বলতা মাত্র ১০ লুমেন। প্রতিটি বাড়িকে একটি করে সৌর লণ্ঠন দেওয়া হল। গ্রামে একটি সৌর লণ্ঠন চার্জিং স্টেশনও তৈরি করা হল। এর মধ্যে দু’টি ৬০ ওয়াটের সোলার প্যানেল রয়েছে, রয়েছে ২টি সার্কিট বক্স। এর মাধ্যমে এক সঙ্গে ১৬টি লণ্ঠনের চার্জের ব্যবস্থা করা যায়।
বাড়িগুলিতে আলো জ্বালানোর প্রয়োজন হলে কেরোসিনের লন্ঠন ছাড়া গতি ছিল না। এক একটি কেরোসিন লন্ঠনের জন্য মাসে দু’ থেকে আড়াই লিটার কেরোসিন তেলের প্রয়োজন পড়তো। উজ্জ্বলতা এবং অন্যান্য দিক দিয়ে সৌরলণ্ঠন কেরোসিনের বাতির চেয়ে অনেক ভালো। কিন্তু একই সময়ে বিভিন্ন জায়গায় আলোর প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে একটি কেরোসিন লন্ঠনের বদলে একটি করে সৌরলণ্ঠন দেওয়া হয়েছে।
এখন প্রতিটি পরিবার প্রতিটি বাতি পিছু মাসে ৭০ থেকে ১০০ টাকা বাঁচাচ্ছে। গোটা ব্যবস্থাটি টিঁকিয়ে রাখার জন্য এবং গোষ্ঠীর সম্পদ বাঁচানোর লক্ষ্যে প্রতিটি পরিবারই মাসে ২৫ টাকা করে এই খাতে সঞ্চয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/13/2020