ঘরের ভিতরের দূষণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে দিকে তেমন ভাবে নজর দেওয়া হয় না। গরিব পরিবারে দূষণ শুরু হয় রান্নাঘর থেকে।
যিনি রান্না করেন সেই মহিলার ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থতার জন্য ধোঁয়া অনেকাংশে দায়ী। ঘরে দূষণের উৎস থেকে যে গ্যাস বা পদার্থ নির্গত হয়, সেই গ্যাস বা পদার্থই বাড়ির ভিতরের বাতাসের গুণমান কমিয়ে দেয়। ধোঁয়ার প্রাথমিক উৎস হল আগুন ধরানোর জন্য দেশলাই জ্বালানো, কয়লা/কাঠ পোড়ানো (গ্রামে এখনও এগুলিই প্রধান জ্বালানি)। বহু বাড়িতেই বাতাসের ঢোকা-বেরোনোর ঠিকমতো ব্যবস্থা থাকে না। বায়ু নির্গমন-আগমনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় বাইরে থেকে পরিষ্কার হাওয়া এসে ভিতরের বায়ু দূষণের পরিমাণ কমাতে পারে না এবং বাড়ির ভিতরের দূষিত বায়ু বাইরেও বের হতে পারে না। তাপ এবং আর্দ্রতার উচ্চ মাত্রা কিছু কিছু দূষিত পদার্থের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। বহু সূত্র থেকে ঘরের দূষণ হতে পারে। শহরের ঘরবাড়িতে তাপের ব্যবস্থা, রান্নার ব্যবস্থা এবং তামাক সেবন থেকে দূষণের জন্য স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব পড়ছে তা সঠিক ভাবে পরিমাপ করা প্রয়োজন। বহু কারণে শহরাঞ্চলে ঘরের ভিতরের দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে ঘেঁষাঘেঁষি করে বাড়ি তৈরি করা, বায়ু আগমন-নির্গমনের রাস্তা কম রাখা, বাড়ি তৈরিতে সিন্থেটিক জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা, বাড়ির কাজে কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ইত্যাদি রয়েছে। ঘরের ভিতরের দূষণ বাড়ির ভিতরে শুরু হতে পারে বা বাইরে থেকেও আসতে পারে। বদ্ধ জায়গায় শুধু নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সীসা থেকেই দূষণ ছড়ায় না, বায়ু দূষণের জন্য আরও অনেক ধরনের পদার্থই দায়ী।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/10/2020