৭.৫ সেমি ইটের গাঁথুনি দিয়ে ২ স্তরবিশিষ্ট একটি আয়তাকার হাইড্রোলিক চেম্বার তৈরি করতে হবে। নিচু ও ওপর চেম্বারের মাপ হবে যথাক্রমে ১০০ সেমি দৈর্ঘ্য × ১৫০ সেমি প্রস্থ × ১১৫ সেমি উচ্চতা এবং ১৬০ সেমি দৈর্ঘ্য × ১৫০ সেমি প্রস্থ × ৬০ সেমি উচ্চতা। ৬০ সেমি দেওয়ালের শেষ হলে স্পেন্ট স্লারি নির্গমনের জন্য একটা খোলা পথ/দরজা রাখতে হবে হাইড্রোলিক চেম্বারের ভিতরে দিক ১:৪ অনুপাতে প্লাস্টার কাজ শেষ করে নিতে হবে। স্পেন্ট স্লারি নির্গমনের পথের ওপরে আরও ৭.৫ সেমি গেঁথে নিতে হবে। হাইড্রোলিক চেম্বারের ওপরের অংশ ঢেকে রাখার জন্য প্রয়োজন বোধে স্লাব ব্যবহার করতে হবে।
ইনলেট পাইপের মুখে ৬০ সেমি × ৬০ সেমি মাপে একটি ১২.৫ সেমি পুরু ইটের ট্যাঙ্ক তৈরি করতে হবে। এই ট্যাঙ্ক ভেতরের অংশ ভালো ভাবে প্লাস্টার করতে হবে। ডাইজেস্টার হাইড্রোলিক চেম্বার এবং ইনলেট ট্যাঙ্ক তৈরির পর প্লান্টের চার পাশে বালি ও মাটি দিয়ে এমন ভাবে ভরাট করতে হবে যেন ডোমের উপরিভাগ পর্যন্ত মাটির নীচে থাকে।
প্লান্ট চালু করার সময় ১.৫/২ টন কাঁচামাল যথা গোবর, হাঁস-মুরগির মল, মানুষের মল জাতীয় পচনশীল পদার্থের প্রয়োজন। প্লান্ট তৈরির শুরু থেকে এগুলো জমা করে রাখলে প্লান্ট চালুর সময় এগুলো ব্যবহার করা যাবে। অবশ্য কেউ যদি ২/১ দিনেই উক্ত পরিমাণ কাঁচামাল জোগাড় করতে পারেন, তবে আগে থেকে জমা করে রাখার প্রয়োজন নেই। জমাকৃত কাঁচামাল এবং পরিষ্কার জল গোবরের ক্ষেত্রে ১:১, হাঁস-মুরগির মলের ক্ষেত্রে ১:৩ অনুপাতে মিশিয়ে ইনলেট পাইপ দিয়ে আস্তে আস্তে কুয়ায় ঢালতে হবে। চার্জিং-এর সময় খেয়াল রাখতে হবে মাটির চাকা, পাথর, বালি, বড় সাইজের খড়কুটো ইত্যাদি যেন কুয়ার ভিতর প্রবেশ না করে। যদি প্লান্ট সম্পূর্ণ ভর্তি না হয়, বাকি অংশ জল দিয়ে ভরে নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: অ্যাগ্রো বাংলা ডট কম, শেখ সিরাজ রচিত, বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/2/2020