গ্যাস বালবের ছিদ্র পরীক্ষার জন্য পলিথিন পাইপের গ্যাস বালবের মাথা জলের মধ্যে সামান্য ডুবিয়ে দিতে হবে। যদি বালব বন্ধ অবস্থায় জলে বুদবুদ তৈরি হয়, তবে বুঝতে হবে বালবের ভিতর ছিদ্র আছে। বালবের গোড়ায় সাবানের ফেনা লাগিয়ে যদি বুদবুদ দেখা যায় তবে ধরে নিতে হবে বালবের গোড়ায় গ্যাস লিক রয়েছে। এমতাবস্থায় গ্রিজ ও পাট জাতীয় কিছু দিয়ে ছিদ্র বন্ধ করতে হবে।
১.২৭/২.৫৪ সেমি চওড়া পিভিসি / জিআই পাইপ লাইন প্লান্ট থেকে চুলা, হ্যাজাক লাইট, জেনারেটর পর্যন্ত সংযোগ করতে হবে। যে হেতু বায়োগ্যাস জল মিশ্রিত থাকে, সে হেতু জল জমে থাকার সম্ভাবনা থাকবে না। পাইপের এক মাথা একটি প্লাস্টিক পাইপের সাহায্যে প্লান্টের সরবরাহ লাইনে এবং অন্য মাথাটি চুলা, হ্যাজাক, লাইট, জেনারেটর ইত্যাদির সাথে টি-এর সাহায্যে যুক্ত করে নিতে হবে।
৩ মিটার (১০৫) ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনক্ষম স্থিরডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণের উপকরণ সমূহের পরিমাণ দেওয়া হল। ১ হাজার ইট, ১২ বস্তা সিমেন্ট, ১২০ ঘনফুট বালি, আরসিসি পাইপ ১২ ফুট, গ্রস বালব (শর্ট পিসসহ) ১টি, মোম ২ কেজি, বার্নার ১টি, হ্যাজাক ১টি। এ জাতীয় একটি গ্যাস প্লান্টের স্থায়িত্ব হবে অন্তত ৩০ বছর।
বর্তমানে বাংলাদেশে গরু-মহিষের সংখ্যা আনুমানিক ২ কোটি ২০ লাখ। এই গরু-মহিষ থেকে দৈনিক প্রাপ্ত গোবরের পরিমাণ ২২০০ লক্ষ কেজি। প্রতি কেজি গোবর থেকে ১.৩ ঘনফুট গ্যাস হিসাবে বছরে ১০৯ ঘনমিটার গ্যাস পাওয়া সম্ভব যা ১০৬ টন কেরোসিন বা কয়লার সমান। এ ছাড়াও হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়া ইত্যাদির মলমূত্র থেকে এবং আবর্জনা, কচুরপানা বা জলজ উদ্ভিদ থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বায়োগ্যাস পাওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয়, গ্যাস হিসাবে ব্যবহারের পর ওই গোবর জমির জন্য উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব। তাই প্রতিটি পরিবারকে বায়োগ্যাস প্লান্টের সাথে যুক্ত করতে পারলে জ্বালানি সঙ্কট দূর করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং উন্নত গ্রামীণ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র: অ্যাগ্রো বাংলা ডট কম, শেখ সিরাজ রচিত, বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020