এটার একটা নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে শিশুদের মনে। এর ফলে তারা ঘৃণা করতে শুরু করে, ভয় পায় ও আতঙ্কিত হয়।
এ ধরনের শাস্তি শিশুদের মনে রাগের উদ্রেক করে এবং তারা হীনমন্যতায় ভোগে। শিশুকে অসহায় ও অপদস্থ করে। শিশুর আত্মমর্যাদা বোধ ও অহং-কে আঘাত করার মধ্য দিয়ে শিশুকে বিচ্ছিন্ন বা আক্রমণাত্মক করে তোলা হয়।
এতে শিশুরা মনে করে হিংসা ও প্রতিশোধই সমস্যা সমাধানের এক মাত্র পথ। বড়রা যা করে শিশুরা তা অনুকরণ করে। শিশুরা এটা বিশ্বাস করতে শুরু করে যে হিংসার প্রয়োগে কোনও ভুল নেই। তারা তাদের বাবা মা বা শিক্ষককেও অসম্মান করে। শারীরিক অত্যাচারে ভুক্তভোগী শিশু স্বাভাবিক ভাবে বড় হয়ে নিজের শিশু, স্ত্রী/স্বামী বা বন্ধুদের ওপর অত্যাচার করে।
দৈহিক শাস্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনও কাজেই দেয় না। এই শাস্তি দিয়ে কাউকে অনুপ্রাণিত করা যায় না। এটা শিশুর ভালোর থেকে ক্ষতি করে বেশি। শিশুকে শাস্তি দিলে সে হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য নিয়মানুবর্তিতা শেখে, কিন্ত্ত আদতে সে বিষয়টি অনুধাবনই করতে পারে না এবং বুদ্ধিমানও হয়ে ওঠে না। এর আরও খারাপ দিক রয়েছে। বহু পথশিশু, তাদের স্কুল,বাড়ি বা পরিবার থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে স্কুলের শারীরিক শাস্তিকে চিহ্নিত করেছে।
শিশুকে নিয়মানুবর্তিতা শেখানোর এই মানে নয় যে তার বিকশিত হওয়ার ও অংশগ্রহণের অধিকারটাই আমরা ছিনিয়ে নেব। সত্যি বলতে কি, শিশুর অংশগ্রহণের অধিকার মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়েই শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব। শিশুর শারীরিক শাস্তি কোনও ধর্ম বা আইনে অনুমোদন করে না। কোনও ভাবেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারছেন না বলেই, কোনও ব্যক্তি শিশুদের শারীরিক শাস্তি দেওয়ার আইনি বা নৈতিক অধিকার পেতে পারেন না।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/29/2020