১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে প্রণীত শিশু শ্রম সংক্রান্ত জাতীয় নীতিতে শিশু শ্রম সমস্যার মোকাবিলায় একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়। এতে আছে ---
জাতীয় শিশু শ্রম নীতির অনুসারী পদক্ষেপ হিসাবে শিশু শ্রমিকদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে শুরু হয় এনসিএলপি পরিকল্পনা । এই পরিকল্পনায় প্রাথমিক ভাবে বিপজ্জনক কাজ ও পেশায় নিযুক্ত শিশুদের পুনর্বাসনে নজর দেওয়া হয়। এই পরিকল্পনা অনুসারে, বিপজ্জনক কাজ ও পেশায় নিযুক্ত শিশুদের ওপর একটি সমীক্ষা করার পর, তাদের সেই সব কাজ ও পেশা থেকে সরিয়ে এনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত করার লক্ষ্যে বিশেষ স্কুলে পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
বিপজ্জনক কাজে শিশুদের নিয়োগ বন্ধ করা এবং বিপজ্জনক নয় এমন কাজের ক্ষেত্রে শিশু শ্রম আইন অনুযায়ী কাজের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিশু শ্রম আইন ও অন্যান্য শ্রম আইন দৃঢ় ভাবে প্রয়োগ করার জন্যই আইনি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়।
অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী সরকার সমস্যার মোকাবিলা করতে আইনি অস্ত্রগুলো ব্যবহার করছে এবং পাশাপাশি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে। অ্যাকশন প্ল্যান রূপায়ণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলোর ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। আইন কোথাও ভাঙা হচ্ছে কি না, তা দেখতে তাদের তরফে নিয়মিত পরিদর্শন ও অভিযান চালানো হচ্ছে। যে হেতু দারিদ্রই সমস্যার মূলে এবং শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করেই তার সমাধান সম্ভব নয়, তাই সরকার ওই শিশুদের পুনর্বাসন এবং তাদের পরিবারগুলির আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে জোর দিচ্ছে।
২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার বিল পাস করেছে ভারত সরকার । এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী। শত শত বছর ধরে শিশু শ্রমিকের যে সমস্যায় এ দেশ জেরবার, এই আইন তৃণমূল স্তরে প্রয়োগের মধ্য দিয়েই তার সমাধান সম্ভব।
বিপজ্জনক পেশায় যুক্ত শিশুদের পেশা থেকে সরিয়ে আনা ও বিশেষ স্কুলে তাদের পুনর্বাসন করার জন্য ভারত সরকার এক ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য প্রায় ২০ লক্ষ শিশুকে তাদের পেশা থেকে সরিয়ে এনে বিশেষ স্কুলে রাখা, সেখানে তাদের শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, মাসিক স্টাইপেন্ড দেওয়া এবং স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও পুষ্টির ব্যবস্থা করা।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/12/2020