যে সব শিশু ভালো পরিবেশে বড় হয়ে ওঠে তাদের ব্যবহারও ভালো হয় এবং যে কোনও পরিস্থিতিই তারা খুব ভালো ভাবে মোকাবিলা করতে পারে। শিশুর পরিবেশ তার পরিবার, আত্মীয়বন্ধু, শিক্ষক ও স্কুলের ওপর নির্ভর করে। শিশুর বিকাশের জন্য তাকে সঠিক ভাবে সামাজিক করে তুলতে হবে। প্রাথমিক ভাবে শিশুর চরিত্র গঠন করেন তার বাবা মা এবং শিক্ষক। পাশাপাশি এ কথা মনে রাখতে হবে, শিশুর জীবনের সাফল্য বা ব্যর্থতার পেছনে পড়াশোনায় তার যোগ্যতাই একমাত্র নির্ধারক বিষয় নয়, যদিও পড়াশোনায় দক্ষতা এ বিষয়টিকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু আজকের যুগে প্রায়ই দেখা যায়, শিশুর চরিত্র ও মনের বিকাশের থেকে বাবা মা তার লেখাপড়ার দিকে বেশি গুরুত্ব দেন, আর এই ভুল দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হয় শিশুরা। এখন সময় এসে গেছে, ভবিষ্যতের সুনাগরিক তৈরির উদ্দেশ্যে শিশুর মা বাবা ও শিক্ষককে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোতে হবে। শিশুকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে এবং মানবিক ও সামাজিক গুণাবলির মিশেল দিয়ে বেড়ে উঠতে সাহায্য করতে হবে।
সিগমুন্ড ফ্রয়েড বলেছেন, শিশুর শৈশব তার ভবিষ্যতকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিখ্যাত শিশু মনোবিশেষজ্ঞ স্কফ বলেছেন, যে সব শিশু ভালো পরিবার ও ভালো পরিবেশে বড় হয়ে ওঠে, তাদের মানবিক গঠন সুন্দর হয় এবং তারা অন্য ব্যক্তির সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে কিন্তু যে শিশুরা খারাপ পরিবার ও পরিবেশে বড় হয়ে ওঠে, তাদের ক্ষেত্রে এ রকম হয় না। শিশুরা অনুকরণপ্রবণ হয়। পরিবেশে ও পরিবারে তারা যা দেখে, তা-ই অনুকরণ করার চেষ্টা করে। শিশুরা যাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মেলামেশা করে, যেমন তার পরিবারের আত্মীয়স্বজন, স্কুলের বন্ধু ও শিক্ষক এবং পরিচিতরা-- তাদের নিয়েই শিশুদের সামাজিক পরিবেশ তৈরি হয়।
সঠিক ভাবে শিশুকে সামাজিক করে তুলতে পারলেই তার সঠিক বিকাশ সম্ভব। শিশুকে সামাজিক করার প্রাথমিক মাধ্যম হল পরিবার, এখানেই শিশুর চরিত্র প্রথম গঠিত হয়। দ্বিতীয় মাধ্যম হল স্কুল, এখানেই শিশু তার জীবনের প্রথম অধ্যায় অতিবাহিত করে। সুতরাং স্কুল হল শিশুর জীবনে এক নতুন সমাজ। শিশুর যথাযথ বিকাশের জন্য তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ --- এগুলি হল, পড়াশোনায় উৎকর্ষ, সমাজোপযোগী বিকাশ ও মানসিক অনুভুতির বিকাশ।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/15/2019
কেন সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প হাতে নেওয়া হল, কী পর...
কী ভাবে যৌন নিগ্রহের শিকার হয় শিশুরা তা এখানে বিস্...