জিৎ বা জিতেন্দ্র মদনানি টলিউডের একজন গুরুত্বপূর্ণ নায়ক। তিনি ২০০২ সালে তাঁর অভিনীত সাথী ছবির জন্য বিএফজেএ সবচেয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অভিনেতা-এর পুরস্কার পান। এই ছবিটি বাণিজ্যিক সাফল্যও লাভ করে। তিনি স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, ‘কোটি টাকার বাজি’ রিয়েলিটি শো-এ সঞ্চালক হওয়ার জন্য। তিনি টলিউডের সর্বোচ্চ হিট ছবিতে অভিনয়ের গৌরব অর্জন করেন। ঐ ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, সাথী, জোশ, শত্রু, দুই পৃথিবী, ফাইটার, ১০০% লাভ, এবং ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রেকর্ড করা ছবি আওয়ারা। তিনি ২০১২ সালের আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড পান এই আওয়ারা ছবিতে অভিনয়ের জন্য। বর্তমানে তিনি বাংলা ছবির অন্যতম সুপারস্টার। ২০১৪ সালে ‘বচ্চন’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত।
তিনি প্রথমে সেন্ট জোসেফ অ্যান্ড মারি স্কুল, নিউ আলিপুর ও পরে ন্যাশনাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি কলেজ হতে গ্র্যাজুয়েট হন। পরে তিনি তাঁর পরিবারের ব্যবসায় যোগদান করেন। তবে সৃজনশীল কাজের প্রতি তাঁর বরাবরই উৎসাহ ছিল। মাঝেমধ্যে তিনি বিখ্যাত অভিনেতাদের অভিনয় অনুকরণ করার চেষ্টা করতেন। তাঁর বন্ধু রাজেশ চৌধুরী সৃজনশীল দুনিয়ায় তাঁর ভাগ্য পরীক্ষা করতে বলেন।
এর পর তিনি বিভিন্ন কাজে যোগ দেন। এর পর তিনি বিভিন্ন সিরিয়ালে যেমন, বিষবৃক্ষ-এ তারাচরণ চরিত্রে, জননী-তে অনিল চরিত্রে সহ আরও কিছু সিরিয়ালে অভিনয় করেন। এর পর তিনি মুম্বই যান। কলকাতায় এসে তিনি প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টার নামক এক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন। এই প্রতিষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন ইংরেজি নাটকে অভিনয় করেন যেমন, আর্মস অ্যান্ড দ্য ম্যান, ম্যান অ্যাট দ্য ফ্লোর। তার পর তিনি আবার মুম্বই যান এবং এক তেলুগু ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির নাম ছিল চাঁদু। এই ছবিটি তেমন কোনও পরিচয় তাঁকে এনে দিতে পারেনি।
২০০১ সালের অক্টোবরে তিনি আবার কলকাতায় আসেন এবং পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর কাছ থেকে সাথী ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান। এই ছবি জিৎকে বাংলা ছবির জগতে এক বিশেষ স্থান করে দেয়। তাঁর স্বাভাবিক কিন্তু ভাষাসমৃদ্ধ অভিনয় দ্রুতই তাকে বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। যদিও তিনি রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন, ক্রমশ তিনি একজন অ্যাকশন হিরো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৫ সালে থামস্ আপ-এর এক বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে তিনি আরও সুপরিচিত হন। ২০১২ সালে তিনি একজন সফল প্রযোজক হিসেবে সমাদৃত হন, তার অভিনীত ১০০% লাভ ছবিতে প্রযোজনার মাধ্যমে।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/26/2019