মেধা তো ছিলই। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় একেবারে প্রথম একশোর মধ্যে নাম না থাকলেও প্রথম সারির বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোয় চান্স পেতে কোনও অসুবিধা হয়নি। টাকা পয়সা যতটা খরচ করার, কার্পণ্য হয়নি কোনও দিক থেকে। ফলে যা হওয়ার তাই, চার বছর পর হাতে চলে এসেছে বিই ডিগ্রি। কিংবা হয়তো বিই নয়, তোমার দখলে রয়েছে বিসিএ, এমসিএ বা কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রিটি। কিন্তু সব কিছুর পরেও, যার জন্য এত সব, সেই প্রয়োজনীয় চাকরির বাজারে গিয়ে দেখছো, পিছিয়ে রয়েছো অনেকগুলি দিক থেকে। অথবা পিছিয়ে না থাকলেও, ইন্টারভিউ-তে বা নিজেকে যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে ঘাটতি থেকে গেছে। তাই পছন্দের সংস্থার পছন্দের চাকরিটি থেকে যাচ্ছে অধরাই। ফল, হতাশা-অবসাদ ঘিরে ফেলছে তোমাকে। শুধু তোমাকে নয়, তোমার অভিভাবক, প্রিয়জন, শুভানুধ্যায়ীদেরও।
একটা কথা পরিষ্কার ভাবে বুঝে নেওয়া ভালো। আধুনিক শিল্প কী ধরনের কর্মী চায় ? তারা এমন ইঞ্জিনিয়ার আর পেশাদার চায় যারা শুধু সুশিক্ষিতই নয়, সুপ্রশিক্ষিত। সুতরাং পকেটে শুধু একটা দারুন রেজাল্টের সার্টিফিকেট থাকলেই চলবে না, এমন জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে, যাতে কেবলমাত্র আজকেরই নয়, আগামী কালের সমস্যারও মোকাবিলা করা যায়। আর এটা তখনই সম্ভব যখন একটা সুবিন্যস্ত সুচিন্তিত প্রশিক্ষণ পাঠক্রমের মধ্যে দিয়ে এক জন ট্রেনি সৃজনশীলতা, মৌলিকতা ও উদ্ভাবনশীলতা অর্জন করতে পারে। আজকাল শারীরিক দক্ষতার যতটা প্রয়োজন হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন হয় মস্তিষ্কের দক্ষতা। যে কাজটা এক জন করছে তার জন্য একটা ন্যূনতম দক্ষতা কাজে লাগে ঠিকই। কিন্তু সেটাই সব নয়। এর পাশাপাশি থাকতে হবে সব কিছু খুঁটিয়ে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা, সমস্যা মেটানোর দক্ষতা এবং যোগাযোগ করার দক্ষতা যাতে পরিবর্তনশীল দৃশ্যপটের সঙ্গে দ্রুত তাল মেলানো যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, নিজেকে সব দিক থেকে যোগ্য করে তোলার পথ কী ?
সূত্র : আইআইআইএম, কলকাতা
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/2/2020