যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে, কিন্তু তার সূচনা আরও পঞ্চাশ বছর আগে। ভারতীয় যুবসমাজকে ভারতীয় তত্ত্বাবধানে দেশের হিতার্থে উচ্চশিক্ষার (বিশেষত প্রযুক্তিশিক্ষার) সুযোগ দিতে ১৯০৫ সালে স্থাপিত হয় জাতীয় শিক্ষা পর্ষদ। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখ, মুখ্য কাণ্ডারী ছিলেন সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ব্রিটিশদের বিরাগভাজন এই প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনতার পর রূপান্তরিত হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠার মুহূর্তে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল ধরেছিলেন প্রথম উপাচার্য ত্রিগুণা সেন।
প্রযুক্তি-বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করে যাদবপুরে ক্রমশ গড়ে ওঠে সমতুল্য দু’টি কলা ও বিজ্ঞান শাখা। আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সব বিচারেই ভারতের প্রথম দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বলে গণ্য হয়; কোনও-কোনও বিচারে তার স্থান আরও উচ্চে। অবিচ্ছিন্ন ভাবে জাতীয় মূল্যায়ন ও অনুমোদন পর্ষদের সর্বোচ্চ মূল্যায়নপ্রাপ্ত, এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-নির্দিষ্ট প্রথম ‘সম্ভাবনাময় বিশ্ববিদ্যালয়’গুলির একটি। ছাত্র ও শিক্ষক-বিনিময়, এবং যুগ্ম পঠনপাঠন ও গবেষণার উদ্যোগে, বহু দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদানপ্রদান অব্যাহত।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি শাখার অধীনে মোট ৩৭টি বিভাগ আছে। আছে আনুমানিক ৮৫০ শিক্ষক ও ১১,০০০ ছাত্রছাত্রী। প্রধান-প্রধান পাঠ্যক্রমের বাইরে আছে আরও অনেক স্বল্পমেয়াদি পঠনসূচি ও বৃহত্তর সামাজিক উদ্যোগ। এ ছাড়া খুব সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্বিষয়ক পঠনপাঠন ও গবেষণার জন্য একটি আলাদা শাখা, যার অন্তর্ভুক্ত হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ গর্ব, একুশটি আন্তর্বিষয়ক পাঠ-প্রাঙ্গণ (Interdisciplinary Schools)। তার একটি হল বিচিত্রা প্রকল্পের কার্যকেন্দ্র ‘স্কুল অব কালচারাল টেক্সটস অ্যান্ড রেকর্ডস’। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও আছে ৪১টি স্বতন্ত্র পাঠকেন্দ্র (Centres of Study)।
দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গনটি অবস্থিত। দ্বিতীয় নবনির্মিত শিক্ষাপ্রাঙ্গনটি চালু হয়েছে কলকাতার পার্শ্ববর্তী বিধাননগরে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স ও সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিকস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর মতো অগ্রণী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।
সূত্র: www.jaduniv.edu.in
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/18/2020