অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

এশিয়াটিক সোসাইটি

এশিয়াটিক সোসাইটি

দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতার একটি অগ্রণী গবেষণা সংস্থা। ১৭৮৪ সালের ১৫ জুলাই ভারততত্ত্ববিদ স্যার উইলিয়াম জোনস ব্রিটিশ ভারতের তদানীন্তন রাজধানী কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের তদানীন্তন গভর্নর-জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন এই সংস্থার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ১৮০৮ সালে দক্ষিণ কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটি ভবনে সংস্থাটি স্থানান্তরিত হয়। ১৯৬৫ সালে এই ঐতিহাসিক ভবনটির পাশেই সোসাইটির দ্বিতীয় ভবনটির দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়। বর্তমানে সোসাইটির একটি নিজস্ব গ্রন্থাগার ও নিজস্ব সংগ্রহালয়ও রয়েছে। এই গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে অনেক প্রাচীন পুঁথি, বইপত্র, তাম্রসনদ, মুদ্রা, প্রতিকৃতি, ছবি ও আবক্ষ মূর্তি। উল্লেখ্য, কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি সমজাতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে প্রাচীনতম।

সদস্য

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এশিয়াটিক সোসাইটিতে শুধুমাত্র ইউরোপীয়রাই এর সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারতেন। জন হাইড, জন কার্নাক, হেনরি ভ্যান্সিট্রাট, জন শোর, চার্লস উইল্কিন্স, ফ্রান্সিস গ্ল্যাডউইন, জোনাথন ডানকান প্রভৃতি এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম সদস্য ছিলেন। কিন্তু ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন সম্পাদক হোরেস হেম্যান উইলসনের পরিকল্পনা মতো ভারতীয়রা এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদের অধিকারী হন। প্রসন্নকুমার ঠাকুর, দ্বারকানাথ ঠাকুর, রসময় দত্ত এবং রামকমল সেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম ভারতীয় সদস্য ছিলেন। ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে রাধাকান্ত দেবকে সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে রামকমল সেন প্রথম ভারতীয় সম্পাদক এবং ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে রাজেন্দ্রলাল মিত্র এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম ভারতীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

গ্রন্থাগার

এশিয়াটিক সোসাইটির গ্রন্থাগারে ছাব্বিশটি ভাষা ও লিপিতে লিখিত প্রায় ৪৭,০০০ পুঁথি এবং প্রায় ১,৪৯,০০০ খণ্ড ছাপা পুস্তকের সম্ভার রয়েছে। এই গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠানের সদস্য ছাড়াও বহু ইউরোপীয় ও ভারতীয়দের দেওয়া উপহার সংগ্রহ করে গড়ে উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত পুঁথিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সপ্তম শতাব্দীতে রচিত কুব্জিকামাতম, ১৩৬২ খ্রিস্টাব্দে রচিত ঋগবেদপদপাঠ, কিরণাবলী, চারুচর্য, পরাসিকাপ্রকাশ, ললিতবিস্তার, দায়ভাগ, কালচক্রটীকা, কালচক্রাবেতার, দেবীমাহাত্ম্যম্, সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত রামচরিত মানস, শ্রীনিবাস রচিত ভট্টিকাব্যটীকা, দ্বাদশ শতাব্দীতে রচিত কালাইদ-আল-ইকুয়াইন-ওয়া-মহসিন-আল-আয়ান ও খারিদাত আল-কাস্র, ত্রয়োদশ শতাব্দীতে রচিত আ-মাদখুল ও তাফসির-ই-কুরান, পঞ্চদশ শতাব্দীতে রচিত তুহফাত-আল-আহবার-ফি-উসুল-আত-হাদিথ-ওয়া'ল-আখবর, অষ্টাদশ শতাব্দীতে রচিত কিতাব আল-ই'লান ও আদাব-ই-আলমগিরি, অষ্টসহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা, অপরিমিতায়ুর্নাম মহাযান সূত্র, পঞ্চরক্ষ, পরমার্থনাম সঙ্গতি, বিবেক পঞ্চামৃত, শাহনামা, ফরং-ই-ঔরং শাহী, দিওয়ান-ই-মখফি, কিসসা-ই-নুশ-আফারিন, আমীর নামা তুতিনামা, ইয়ার-ই-দনেশ, তফ্রিবুল-ইমরাহ, ইমারাতুত-আকবর প্রভৃতি।

সূত্র : http://www.asiaticsocietycal.com

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate