অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

গোড়াপত্তন ও ইতিহাস

গোড়াপত্তন ও ইতিহাস

ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (আই.এস.আই.) একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ১৯৫৯ সালের সংসদীয় আইন দ্বারা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃত হয়। এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিস্টিক্স ল্যাবরেটরিতে প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশের তত্ত্বাবধানে। ১৯৩১ সালে স্থাপিত, ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যপূর্ণ এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিসংখ্যান গবেষণাতে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদলে উত্তর ক্যরোলিনার বিখ্যাত গবেষণা ত্রিভুজে উত্তর আমেরিকার প্রথম পরিসংখ্যানতত্ত্বের প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়।

আই.এস.আই. এর সদর দফতর কলকাতার বরানগরে স্থাপিত। এ ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানের বেঙ্গালুরু, দিল্লি, চেন্নাই ও তেজপুরে চারটি শাখা রয়েছে। তা ছাড়াও মুম্বই, হায়দরাবাদ, পুনে, গিরিড, বরোদা ও কোয়েমবাটুরে আই.এস.আই. এর কার্যালয় রয়েছে।

ইতিহাস

আই.এস.আই-এর উৎস মহালানবিশের তৈরি প্রেসিডেন্সি কলেজের পরিসংখ্যানতত্ত্ব গবেষণাগার থেকে। ১৯২০-এর দশকে মহালানবিশ প্রেসিডেন্সিতে পদার্থবিদ্যা বিভাগে কাজ করতেন। ১৯১৩-১৫ কেমব্রিজে স্নাতকের সময় তিনি কার্ল পিয়ারসনের প্রবর্তিত বাওমেট্রিকা জার্নালটির সংস্পর্শে আসেন। ১৯১৫ সাল থেকে তিনি প্রেসিডেন্সিতে পদার্থবিদ্যার শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন। কিন্তু ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের প্রভাবে ধীরে ধীরে তাঁর পরিসংখ্যানতত্ত্বের প্রতি কৌতূহল বাড়তে লাগে। তিনি পরিসংখ্যানতত্ত্বে আগ্রহী তাঁর কিছু সহকর্মীকে নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে পরিসংখ্যানতত্ত্ব গবেষনাগার স্থাপন করেন।

১৯৩১ সালের ১৭ডিসেম্বর, প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশ তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট গঠন করেন। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি মহালনবিশের বরানগরের বাড়ি “আম্রপালি”তে স্থানান্তরিত করা হয়।

১৯৫০ সালে ভারত সরকারের নির্দেশে আই এস আই এক বৃহত্তর আর্থ-সামাজিক নিরীক্ষার ব্যাবস্থা করে। এই নিরীক্ষাতে ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলগুলিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে নামক সংস্থাটি গঠন করা হয়। ১৯৫৯ সাল অবধি এই প্রতিষ্ঠানটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। “দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট আক্ট ১৯৫৯” আইন সংসদে পাশ হয় এবং আই এস আই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়। এই আইনের দ্বারাই আই এস আই এর সমস্ত খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। ১৯৬০-এর দশকের মধ্যে আই এস আই দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে বিশেষ শাখা চালু করে। ১৯৭০-এর দশকের প্রথম দিকে দিল্লি ও বেঙ্গালুরু শাখাগুলি শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত হয়। ২০০৮ সালে চেন্নাইয়ের শাখাটিও শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে পরিণিত করা হয়। ]২০১১ সালে তেজপুরে আই এস আই এর একটি নতুন শাখা চালু করা হয়।

সূত্র : isical.ac.in

সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/22/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate