ভারত সরকার কিছু দিনের মধ্যেই জীবিকা সংক্রান্ত সমীক্ষার ক্ষেত্রে একটি নতুন পদ্ধতি চালু করতে চলেছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি এবং জীবিকায় মহিলাদের অবদানকে অনেক নির্দিষ্ট ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে। এই পদ্ধতিতে প্রতি ঘণ্টার হিসেবে মহিলাদের কাজের বিশদ হিসেব রাখা হবে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন দফতর এই ‘টাইম-ইউস সার্ভে’ অর্থাৎ ‘সময়-ব্যবহার সমীক্ষা’ দেশের জাতীয় পরিসংখ্যান পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু করবে।
এই পদ্ধতিতে পরিবারের বিভিন্ন সদস্য, বিশেষত মহিলারা, সারা দিনের নানা কাজে কত সময় ব্যয় হচ্ছে তার একটি বিশদ হিসেব রাখবেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করেও এই তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র একটি বিশেষজ্ঞ দল নিযুক্ত করেছে। এই দল ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কাজের ও সেই কাজের যথাযথ উৎপাদন মূল্যের একটি তালিকা তৈরি করেছেন যেটি সমীক্ষার নতুন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হবে।
অনেক পরিসংখ্যানবিদ মনে করেন, এখন যে পদ্ধতি মেনে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন (জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থা) জীবিকা সংক্রান্ত তথ্যের সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে থাকে তাতে জীবনধারণের জন্য যে বিভিন্ন ধরনের কাজ দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা, করে থাকেন, তার সঠিক হিসেব হয় না। মহিলারা সংসারে অর্থনৈতিক ভাবে উৎপাদনশীল অনেক কাজ করে থাকেন যা কিনা অন্তরালেই থেকে যায়। ‘টাইম-ইউজ সার্ভে’ অর্থাৎ ‘সময়-ব্যবহার সমীক্ষা’ পদ্ধতিতে এই সব কাজের বিষদ খতিয়ান সম্ভব হবে। এর ফলে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি)হিসেবও আরও সঠিক ভাবে করা যাবে।
ঠিক কবে থেকে এই নতুন পদ্ধতি চালু হবে তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে এটি চালু করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
এই প্রক্রিয়া ভারতের ব্যাপক নারী সমাজের জীবনে কী পরিবর্তন সাধন করবে বা তাদের সম্মান কতটা বাড়বে, তা অবশ্য সময়ই বলবে।
সূত্র : দ্য হিন্দু, ১২ জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020