পড়ুয়াদের বাণিজ্যিক উদ্যোগে সহায়তা করতে উদ্যোগী হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিগুলি। এর জন্য ইনকিউবেশন সেন্টারগুলিকে আরও কার্যকর করে তোলা হচ্ছে। আইআইটি বোম্বে তাদের বিজনেস ইনকিউবেটর সাইনের (সোসাইটি ফর ইনোভেশন অ্যান্ড আঁন্তে প্রেনিউরশিপ)-র আসন সংখ্যা তিন গুন বাড়িয়েছে। আগে এর আসন সংখ্যা ছিল ৩৩, আগামী দিনে তা হতে চলেছে ১০০। আইআইটি মাদ্রাজ তাদের ইনকিউবেটরটির আকার বড় করছে। আইআইটি বোম্বের অধিকর্তা দেবাং কক্কর বলেন, ‘আমরা সাইনের ধারণক্ষমতা তিন গুন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। অর্থনীতিতে উদ্ভাবনের গুরুত্ব প্রচুর। আমাদের মূল লক্ষ্য ইনকিউবেটর ও আঁন্তেপ্রেনিওরদের ঠিকমতো লালনপালন করা’।
প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উদ্ভাবন, গবেষণা ও উদ্যোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইআইটি কানপুরে স্মল স্কেল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে সিডবি ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি হয়েছিল ২০০০ সালে।
প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে তাদের ইনকিউবেশন সেন্টারটির জন্য একটি নতুন ভবন তৈরি করছে, যেখানে ১০০টি সংস্থা কাজ করতে পারবে। বর্তমানে সেখানে ৩০টি সংস্থা কাজ করে থাকে। প্রতি মাসে এই প্রতিষ্ঠানে ৫টি করে বাণিজ্যিক পরিকল্পনা জমা পড়ে।
‘প্রতি বছর অন্তত ৩৩টি সংস্থা এখানে কাজ করে এবং উত্তীর্ণ হয়। সম্প্রসারণের পর সংখ্যাটা বাড়বে’, বলেন ইনোভেশন ও ইনকিউবেশন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর বি ভি ফনি।
বর্তমানে প্রায় ৪০টি সংস্থায় আইআইটি কানপুরের অংশীদারিত্ব আছে, যার আর্থিক পরিমাণ ৩০-৪০ কোটি টাকা। অংশীদারিত্ব বিক্রি করে আইআইটি কানপুর যা উপার্জন করে, তাতে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাড়ানো হয়। বর্তমানে এই সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা।
চেন্নাইতে আইআইটি মাদ্রাজের রিসার্চ পার্কে শুধু যে প্রথম সারির সংস্থাগুলিকে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় তাই নয়, এখানে ইনকিউবেটরও রয়েছে, রয়েছে নতুন সংস্থার কাজ শুরু করার ব্যবস্থাও। এই প্রতিষ্ঠানের ইনকিউবেটরে বর্তমানে ৩০-৪০টি সংস্থা কাজ করছে, সংখ্যাটা আগামী পাঁচ বছরে বেড়ে ১৫০ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এডুকেশন রিভিউ, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020