আলোচনায় অংশ নিয়ে বহু শিক্ষক তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন। মন্তব্য-সহ তাঁদের অভিজ্ঞতার কথাও জানান। দক্ষিণ দিনাজপুরের শিক্ষক বিনয় দাস বলেন, আলোচনার প্রাসঙ্গিকতা তাঁরাও স্বীকার করেন। কিন্তু কী ভাবে আলোচনার সূত্রপাত হবে। বা সরকারের এ ব্যাপারে কী দায়িত্ব তা কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না। উত্তরবঙ্গের হাতিঘিশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চায়না পাল বলেন, মিড ডে মিল প্রকল্প চালাতে গিয়ে তাঁরা বেশ অসুবিধায় পড়ছেন। প্রথামিক স্কুলের জন্য এই প্রকল্পে মাথাপিছু দৈনিক মাত্র তিন টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে তাঁরা আধখানার বেশি ডিম দিতে পারেন না। তা-ও নিয়মিত দেওয়া সম্ভব হয় না। যদি এই বরাদ্দের পরিমাণ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলের মতো পাঁচ টাকা করা যায় তা হলে হয়তো মিড ডে মিল প্রকল্প সফল ভাবে চালানো সম্ভব হবে। ডিম বা অন্য পুষ্টিকর খাবার না থাকায় অনেক সময় অভিভাবকরা অনুযোগ করেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের যে কিছু করার নেই তা তাঁরা বুঝতে পারেন না। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর অঞ্চলের শিক্ষক পরিমল বৈদ্য বলেন, স্কুলে ছাত্রদের হেলথ কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত প্রশিক্ষিত কর্মীর ব্যবস্থা না থাকায় হেলথ চেকআপ বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। শিক্ষকরা উচ্চতা বা ওজন মাপতে পারেন, কিন্তু বিএমআই পদ্ধতিতে আরও যে সব মাপকাঠির কথা বলা আছে অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। বহু বার বলেও এই সমস্যার কোনও সমাধান করা যাচ্ছে না। তিনি জানতে চান, শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের বিষয়গুলিও শিশুর অধিকারের পর্যায়ে পড়ে কিনা। শিক্ষকদের জিজ্ঞাস্য মূলত, প্রকল্প নিয়ে কোনও অভিযোগ বা অনুযোগ থাকলে তা কী ভাবে মেটানো যাবে তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। ফলে সঠিক ভাবে পরিষেবা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019