নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির থিমগুলি প্রকাশ করল কেন্দ্র। সামনে এল শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যের রূপরেখা।
৩৩টি থিমের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা নীতির বিস্তারিত চেহারাটি প্রকাশিত হয়েছে www.mygov.in –এ । শিক্ষানীতিকে পুরোদস্তুর রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামতও চাওয়া হয়েছে এই সরকারি ওয়েবসাইটে। যেটুকু প্রকাশিত হয়েছে, তা শিক্ষানীতির চূড়ান্ত খসড়া নয়। তবে এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ২৯ বছরে এই প্রথম একটি জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু হল।
খসড়া রূপরেখা প্রকাশ করে ওয়েবসাইটে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘জনগণের পাল্টে যাওয়া চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উন্নত মানের শিক্ষা, উদ্ভাবন ও গবেষণার লক্ষ্যেই একটি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করতে চায় সরকার। পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রে মানবসম্পদের স্বল্পতা কমিয়ে ভারতকে জ্ঞানের মহাশক্তিতে পরিণত করাই সরকারের লক্ষ্য’।
যে নতুন নীতিটি আপলোড করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের দিকটিকে এতে মূল্যায়ন করা হবে। বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপি-র ১ শতাংশেরও কম। এই পরিমাণটা কী ভাবে ১.৫ শতাংশ করা যায়, তা নিয়েও পথ খুঁজবে নতুন শিক্ষানীতি। জোর দেওয়া হবে গবেষণা ও বিকাশে।
পড়ুয়াদের মূল্যায়ন আরও ভালো ভাবে করতে পরীক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজার জন্যও এই খসড়া নীতিতে পরামর্শ চেয়েছে কেন্দ্র। পরামর্শ চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন পুনর্গঠনের জন্যও। কারণ ‘বর্তমান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশ ও গুণমানের দিকটিকে সঙ্কুচিত করে রেখেছে’।
কেবলমাত্র সরকারি অর্থে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। উচ্চশিক্ষায় পিপিপি একটি নীতি হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রেই এই নীতি সাফল্যের মুখ দেখেনি। তাই এই মডেলটিকে সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে আরও কার্যকর অংশীদারিত্ব তৈরি করা যায়। খসড়া নীতিতে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষায় পিপিপি মডেলকে বিশ্লেষণ করা দরকার, বর্তমান আইনি কাঠামোর মধ্যে নতুন কোনও পিপিপি মডেল প্রয়োগ করা যায় কিনা, তা দেখা দরকার।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এডুকেশন রিভিউ, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020