অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

রজনীগন্ধ্য রোগ নিয়ন্ত্রণ

গোড়া পঁচা (Foot and root rot) রোগ

রোগের কারণ

স্ক্লেরোশিয়াম রফসি (Sclerotium rolfsii) নামক ছত্রাক দ্বারা এরোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার

মরা গাছের ডাঁটা ও মাটিতে গুটি অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে। বেশী পরিমান নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ করলে রোগটির প্রকোপ বাড়ে। সেচের পানির সাথে স্ক্লেরোশিয়া ভেসে যেয়ে অন্য গাছ বা মাঠে ছড়ায়।

রোগের লক্ষণ

  • গাছের গোড়ার কাছে কন্দে পঁচন ধরে।
  • কন্দের ভিতরের অংশ বিভিন্ন গভীরতা পর্যন্ত পচে যায়।
  • ছত্রাকটি ক্রমশ উপরে উঠে পাতা ও ফুলের ডাঁটা পচিয়ে ফেলে।
  • গোড়ার কাছে পাতার যে অংশ থাকে তা প্রথমে পচে যায়।
  • পাতার রং বাদামী বা খড়ের মত হয়।
  • পঁচা স্থানে সাদা তুলার মত মাইসেলিয়া এবং সরিষার দানার মত স্কেøরোশিয়া লেগে থাকতে দেখা যায়।
  • সমস্ত গাছটা শেষে শুকিয়ে মারা যায়।

রোগের প্রতিকার

  • অতিরিক্ত পানি ও নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ সার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • রোগ প্রতিরোধী জাত চাষ করতে হবে।
  • এ রোগ হয় না এমন ফসলের সাহায্যে শষ্য পর্যায় করতে হবে।
  • রোগমুক্ত বীজ কন্দ সংগ্রহ করতে হবে।
  • কন্দ তোলার সময় আঘাত জনিত ক্ষত এরাতে হবে।
  • কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন) অথবা কার্বোক্সিন + থিরাম (যেমন-প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে কন্দ আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে জমিতে রোপন করতে হবে।
  • জমিতে রোগ দেখা দিলে কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন) অথবা কার্বোক্সিন + থিরাম (যেমন-প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় মাটিতে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

পাতার দাগ (Alternaria leaf spot) রোগ

রোগের কারণ

অলটারনারিয়া এসপি. (Alternaria sp.) নামক ছত্রাক দ্বারা এরোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার

গাছের পরিত্যক্ত অংশে জীবানু বেঁচে থাকে।

রোগের লক্ষণ

  • যে কোন বয়সের গাছে এ রোগ হতে পারে, আক্রান্ত গাছের পাতায় গোলাকার বাদামী দাগ হয়।
  • দাগের মধ্যে চক্রাকার বলয় দেখা যায়।
  • ফুল বহনকারী দন্ডে দাগ হলে দন্ড ভেঙ্গে যায়।
  • পরবর্তীতে গাছ শুকিয়ে মারা যায়।

রোগের প্রতিকার

  • অনুমোদিত রোগ দুরত্ব ব্যবহার করতে হবে।
  • নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ সার প্রয়োগ করা যাবে না।
  • গোছায় অধিক সংখ্যক গাছ রাখা যাবে না।
  • জমিতে রোগ দেখা দিলে ইপ্রিডিয়ন (যেমন-রোভরাল ৫০ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩-৪ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।

পাতা ঝলসানো (Leaf blight) রোগ

রোগের কারণ

বাইপোলারিস এসপি. (Bipolaris sp.) নামক ছত্রাক দ্বারা এরোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার

গাছের পরিত্যক্ত অংশে জীবানু বেঁচে থাকে।

রোগের লক্ষণ

  • এ রোগ যে কোন বয়সের গাছ আক্রমন করতে পারে।
  • আক্রান্ত গাছের পাতায় ছোট বাদামী দাগ হয় এবং পরবর্তীতে পাতাটি ঝলসে যায়।
  • ফুল বহনকারী দন্ডেও এ রোগের লক্ষন দেখা যায়।

রোগের প্রতিকার

  • নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ সার প্রয়োগ করা যাবে না।
  • গাছে রোগ দেখা দিলে কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন) প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে অথবা প্রোপিকোনাজোল (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) ১ লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

সূত্র ও লেখকঃ বিজ্ঞানী ড. কে. এম. খালেকুজ্জামান

সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/12/2023



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate