কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দের ঝুলি উপুড় করল এনডিএ সরকার। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে কৃষিঋণের উর্ধ্বসীমা এক ধাক্কায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেচ ও জমির প্রকৃতি রক্ষায়আর্থিক সাহায্যর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন জেটলি।
বর্তমানে ৭ শতাংশ সুদের হারে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ পেয়ে থাকেন কৃষকরা। যাঁরা সময়ের মধ্যে শোধ করে দেন, তাঁদের জন্য সুদের হার নেমে আসে ৪ শতাংশে। তবে ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষের ঋণসীমা ছিল ৮ লক্ষ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার মধ্যে ৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে উঠতে পেরেছে ব্যাঙ্কগুলি। জেটলি অবশ্য আশাবাদী এই অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কগুলি এই ঋণসীমা ছাড়িয়ে যাবে।
ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের সাহায্য করার লক্ষ্যে কার্যকর ও ঝঞ্ঝাটমুক্ত কৃষিঋণের ওপর জোর দিয়েছেন জেটলি। এই অর্থবর্ষে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট-এর (নাবার্ড) তহবিলে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া, দীর্ঘমেয়াদি গ্রামীণ ঋণ তহবিলে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কৃষি ক্ষেত্রে ঋণ আনতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা এবং ১৫ হাজার কোটি টাকার দু’টি তহবিল ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তুলনায় কম হলেও বরাদ্দ বেড়েছে কৃষি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে। প্রধানমত্রী গ্রাম সিঁচাই যোজনায় ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পগুলিতে ৫,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যগুলিকে এই ক্ষেত্রে যথাসম্ভব এগিয়ে আসতেও অনুরোধ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সিঁচাই যোজনা ঘোষণা হয়েছিল গত বছরের বাজেটে, এখনও তা চালু হয়নি।
কৃষকদের আয় বৃদ্ধির উপরেও জোর দিয়েছেন জেটলি। তাঁর মতে, কৃষকদের এখন আর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভর করতে না হলেও এখনও তাঁদের উৎপাদন সব থেকে ভালো দাম পায় না। এই সমস্যার মোকাবিলায় একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় কৃষি বাজার গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। জানিয়েছেন, এই অর্থবর্ষে নীতি আয়োগে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করবেন তিনি।
এ ছাড়াও তিনি জোর দিয়েছেন কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কৃষিজাত পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার উপরে। তাঁর কথায়, ’আমাদের লক্ষ্য হল -- সেচ এলাকা বাড়ানো, সেচ প্রকল্পগুলির কার্যকারিতা বৃদ্ধি, কৃষি-নির্ভর শিল্পগুলির উন্নতি সাধন, কৃষি থেকে আয় বাড়ানো এবং কৃষিজাত পণ্যের উচিৎ মূল্যমান নির্ণয়।‘
সূত্র: এই সময়, ১ মার্চ, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/19/2020